kha_tare_job

তারেক-পত্নী ডা. জোবায়দা ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী!

সদ্যপ্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর শোক কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে পরবর্তী মেয়র নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। রাজনৈতিক দলগুলোর ঘরোয়া আলোচনায় পরবর্তী মেয়র কে হবেন এনিয়ে হিসেব নিকেশ শুরু হয়ে গেছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন, ‘ ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার আইনগত বাধ্য বাধকতা রয়েছে। আমারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক করব।’

তবে, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের দিন তারিখের অপেক্ষা করছে না। প্রধান দুই দলেই সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে আলাপ আলোচলা শুরু হয়ে গেছে। বিএনপিতেও মেয়র প্রার্থী নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।

এজন্য মনোনয়ন পাওয়ার দৌঁড়ে জোবায়দা রহমানের নাম সবার উপরে। অনেকের মতে তারেক জিয়ার স্ত্রী ডা. জোবায়দা প্রার্থী হলে বিএনপিতে একটা জাগরণ হবে।

গত মেয়র নির্বাচনে বিএনপি নেতা আবদুল আওয়াল মিন্টো ছিলেন অটোমেটিক চয়েস। কিন্তু এবার মিন্টোর মনোনয়ন পাওয়াটা এত সহজ হবে না বলেই মনে করছেন বিএনপির অনেক নেতা। মিন্টোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে দলে প্রশ্ন আছে।

বিএনপি কট্টরপন্থীরা নিষিদ্ধ ‘আমার দেশ’ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মেয়র পদে প্রার্থী করতে উৎসাহী। এরা মনে করছে, মাহমুদুর রহমান প্রার্থী হলে, ঢাকায় আন্দোলন চাঙ্গা হবে। আবার সমঝোতাপন্থীরা সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল মাহাবুবুর রহমানের নাম নিয়েও কথা বলতে শুরু করেছেন।

তবে, তারেক পন্থীরা মনে করছেন, মেয়র নির্বাচন হতে পারে সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণের প্রথম ধাপ। এজন্যই তারা জোবায়দা রহমানের নাম প্রস্তাব করেছেন। এদের মতে তারেক জিয়ার স্ত্রী ডা. জোবায়দা প্রার্থী হলে দলে জাগরণ হবে। কে প্রার্থী হবে সেটা পরের বিষয় তবে আগামী বছরের শুরুটা ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী নিয়েই সরগরম থাকবে ঢাকার রাজনীতি।

বাংলা ইনসাইডার

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন আনিসুলের স্ত্রী রুবানা হক!

আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ইসির সহকারী সচিব রাজীব আহসান জানিয়েছেন, ৩০ নভেম্বর থেকে ৯০ দিন, অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেয়র পদে উপ নির্বাচন শেষ করতে হবে। কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে অন্তত ৪৫ দিন হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা করতে পারে।

সরকারের মেয়াদপূর্তির শেষ বছরে এসে এই নির্বাচন রাজনীতির ময়দান উত্তপ্ত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ওই নির্বাচনে দেশের দুই বৃহৎ রাজনীতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন কে পাচ্ছেন তা নিয়ে এখনই চলছে জল্পনা-কল্পনা।

গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন আনিসুল হক। তার সঙ্গে মনোনয়ন দৌড়ে ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ। তাদের মনোনয়ন না দিয়ে দলের বাইরে থেকে ব্যবসায়ি আনিসুল হককে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিয়ে রাজনীতিতে চমক সৃষ্টি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৫’র নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন আবদুল আউয়াল মিন্টু। সঙ্গে তার ছেলেও মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। মিন্টুর মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে তার ছেলে তাবিথ আউয়াল বিএনপির প্রার্থী হন। নির্বাচনের দিন প্রথম প্রহরেই কারচুপির প্রতিবাদে সরে দাঁড়ান তাবিথ।

তবে সম্পতি বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলা প্যারাডাইস পেপার্স কেলেঙ্কারিতে নাম এসেছে মিন্টু পরিবারের। যার মধ্যে রয়েছে আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও তাবিথ আওয়ালও। এমতাবস্থায় বিএনপি এই পরিবার থেকে কাউকে মনোনয়ন দেবে কি-না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক ডেপুটি মেয়র আব্দুস সালাম এবং ঢাকা মহানগর বিএনপির উত্তরের সভাপতি ও বিভিন্ন মামলায় মালয়েশিয়ায় পলাতক এমএ কাইয়ুমের নাম রয়েছে আলোচনায়। এছাড়া কেন্দ্রীয় কোনো কোনো নেতার নামও রয়েছে আলোচনায়।

২০১৫ সালের দুই প্রার্থীর কেউই দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেননি। এবার দুই দলকে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। কেননা স্থানীয় সরকার নির্বাচন নতুন আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রয়েছে। তাই ডিএনসিসির এই নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মহড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রংপুর, গাজীপুর ছাপিয়ে রাজনীতির কেন্দ্র বিন্দু হবে ঢাকা।

মনিটর

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin