ঢাকা বারে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১০ পদে বিএনপি প্রার্থীর জয়

ঢাকা বারের নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে জয় পেয়েছে বিএনপি সমর্থিত নীল দলের প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন ও হোসেন আলী খান হাসান। এ নির্বাচনে সভাপতি ও সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয়লাভ করেছে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল। অপরদিকে, সহ-সভাপতি সহ ১৩টি পদের জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা দলের প্রার্থীরা।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়াও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে (নীল প্যানেল) কোষাধ্যক্ষ আব্দুল আল মামুন ও অফিস সম্পাদক এইচ এম মাসুম নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে- আজহার উদ্দিন রিপন, কাজী আফরোজা সুলতানা (ইভা),আব্দুল বাসেত রাখী, তানভীর হাসান সোহেল, ইয়াছিন মিয়া ও সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া (জাদু) নির্বাচিত হয়েছেন।

সাদা প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল কাদের, সহ-সভাপতিতে ইমাম হোসেন মঞ্জু, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক এ কে এম হাবিবুর রহমান চুন্নু, সহ-সাধারণ সম্পাদক সিকদার মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান হিমেল, লাইব্রেরি সম্পাদক মো. আতাউর রহমান খান (রুকু), সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাসলিমা আক্তার রীতা, ক্রীড়া সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শায়লা পারভিন পিয়া।

এছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন- এ এইচ এম শফিকুল ইসলাম সোহাগ, মেহেদী হাসান মেরিন, রমজান আলী সরদার রানা, সাব্বির হোসেন ও সাইফুল ইসলাম।

এর আগে, দুই দিনব্যাপী গত বুধ ও বৃহস্পতিবার (২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। দু’দিনের এ ভোটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন ৯ হাজার ২৯৯ জন সদস্য। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়েছে ভোট গণনা।

জানা গেছে, নির্বাচনে ২৩ পদের বিপরীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল ও বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলে মোট ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ ভোটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুন্সি ফখরুল ইসলাম। যার অধীনে ১০ জন কমিশনার এবং ১০০ জন সদস্য কাজ করেছেন।

নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের (সাদা প্যানেল) সভাপতি পদে মো. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদককে মো. আহসান তারিক প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে (নীল প্যানেল) সভাপতি পদে মো. ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে হোসেন আলী খান হাসান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সাদা প্যানেলে অপর প্রার্থীরা ছিলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মো. আবদুল কাদের, সহ-সভাপতিতে মো. ইমাম হোসেন মঞ্জু, ট্রেজারার মো. আনিসুর রহমান আনিস, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক এ কে এম হাবিবুর রহমান চুন্নু, সহ-সাধারণ সম্পাদক সিকদার মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান হিমেল, লাইব্রেরি সম্পাদক মো. আতাউর রহমান খান (রুকু), সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাসলিমা আক্তার রীতা, অফিস সম্পাদক আবা খালেদ মাহমুদ দাইয়ান, ক্রীড়া সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক শায়লা পারভিন পিয়া।

এ ছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে- এ এইচ এম শফিকুল ইসলাম সোহাগ, মো. বাহারুল ইসলাম বাহার, মো. মাসুম মৃধা, মো. সাব্বির হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মো. মেহেদী হাসান মেরিন, মো. রমজান আলী সরদার রানা, এ বি এম ফয়সাল সারোয়ার, মো. মাইন উদ্দিন, সুলতানা রাজিয়া রুমা এবং ইমতিয়াজ আহমেদ প্রিন্স।

নীল প্যানেলে অন্য প্রার্থীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে কামাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. আনিসুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল আল মামুন, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক নিহার হোসেন ফারুক, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাকায়েত উল্লাহ ভূঁইয়া (ছোটন), লাইব্রেরি সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাবিবা কাদের মিলি, অফিস সম্পাদক এইচ এম মাসুম, ক্রীড়া সম্পাদক মনিরুল ইসলাম আকাশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহবুবু হাসান রানা।

এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে- মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ (শামীম), মোছা. তাছলিমা আক্তার, কাজী আফরোজা সুলতানা (ইভা), ইয়াছিন মিয়া, মো. আব্দুল বাসেত রাখী, আজহার উদ্দিন রিপন, এম.আর. কে রাসেল, মো. তানভীর হাসান সোহেল, মো. হোসনী মোবারক, বাবুল আক্তার বাবু ও সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া (জাদু)।

উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সাদা প্যানেল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮টি পদে এবং নীল প্যানেল তিনটি সম্পাদকীয় পদসহ ৯টি পদে জয়লাভ করে। ২০১৮-১৯ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪টি পদেই জয়ী হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা। অপরদিকে, সভাপতি পদসহ ১৩ পদ পান বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা। ২০১৭-১৮ কার্যবর্ষের নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল জয়লাভ করে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল মাত্র ৬টি পদে জয়লাভ করে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin