bnp_somabesh

ঢাকা ‘ফাঁকা’, জেলা শহরে বিএনপির মিছিল

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চতুর্থ বর্ষপূর্তির দিন রাজধানীতে প্রকাশ্য সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় কোনো কর্মসূচি রাখেনি বিএনপি। তবে জেলায় জেলায় কালো পতাকা মিছিল আছে তাদের।

এই দিনটি বিএনপি পালন করে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে। তবে দশম সংসদ নির্বাচনের পর এক বছরই কেবল ঢাকায় কর্মসূচি পালন করতে পেরেছিল তারা। সেটি ২০১৬ সালে। আর ২০১৫, ২০১৭ ও চলতি ২০১৮ সালে পুলিশের বাধা বা অনুমতি না মেলায় পিছিয়ে আসতে হয়েছে তাদের।

এবার বিএনপি সমাবেশ করতে চেয়েছিল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে অন্য একটি দলকে পুলিশ অনুমতি দেয়ায় পরে সমাবেশস্থল পাল্টে নয়াপল্টন করা হয়। অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ আয়োজনে ‘ব্যাপক প্রস্তুতি’র কথা জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বিএনপির তিন নেতাকে চায়ের আমন্ত্রণে ডেকে জানিয়েছেন, প্রকাশ্য সমাবেশ করা যাবে না, সমাবেশ করলে করতে হবে ঘরোয়া পরিবেশে। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বরাদ্দ চাইলে অপেক্ষা করতে হবে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত।

তবে বিএনপি ঘরোয়া সমাবেশ করতে রাজি নয়। আর অনুমতি ছাড়া সমাবেশও করতে চায় না তারা। এই অবস্থায় আবারও পিছিয়ে আসতে হচ্ছে তাদের।

ঢাকায় কর্মসূচি না থাকলেও করণীয় জানাতে বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে কী জানানো হবে, সেটি আগেভাগে বলতে চাইছেন না বিএনপি নেতারা।

বিএনপি-জামায়াতের বর্জন আর প্রতিহতের ঘোষণা এবং সহিংস আন্দোলনের মুখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। অবশ্য ভোটের আগেই দেড় শতাধিক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। আর ভোট ঠেকাতে আগের দুই দিনে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত প্রায় ছয়শ স্কুলে আগুন, ভোটের দিন বিভিন্ন এলাকায় ভোটার ও ভোটকেন্দ্রে হামলার মধ্যেও শেষ হয় নির্বাচন। আর অল্প কিছু এলাকা ছাড়া বাকিগুলোতে ভোট নেয় নির্বাচন কমিশন। আর কার্যত প্রতিদ্বন্দ্বীহীন মাঠে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ভোটের চেয়ে বড় জয় পায় আওয়ামী লীগ।

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তীতে দিবসটিতে দেশজুড়ে লাগাতার অবরোধের ঘোষণা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এই দিন নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয় সমাবেশেরও ডাক দেন তিনি। কিন্তু গুলশানে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে বিকালে তিনি ঘোষণা করেন অবরোধের কর্মসূচি।

কিন্তু সেই কর্মসূচি অকার্যকর হয়ে পড়লে ৯২ দিনের মাথায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য কার্যালয় থেকে বের হন খলেদা জিয়া।

২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দল সমাবেশের অনুমতি চাইলে তা বাতিল করা হয়। পরে বিএনপি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে। আর আওয়ামী লীগ সমাবেশে করে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে।

২০১৭ সালে বিএনপি রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

এ বছরও ৫ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। আর দেশের সকল জেলা, মহানগর ও উপজেলায় কালো পতাকার মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে।

কিন্তু সোহরাওয়ার্দীতে ইসলামিক ইউনাইটেড পার্টিকে বরাদ্দ দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ। পরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কও সমাবেশের জন্য বরাদ্দ চেয়ে পায়নি দলটি।

সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়, শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলন করবেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার ঢাকাটাইসকে বলেন, ‘রিজভী ভাই সংবাদ সম্মেলন করবেন সেখানে আপনারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন। ইনডোর না আউটডোর কর্মসূচি হবে সেটাও জানতে পারবেন। তবে এখনো আমাদের কিছু জানানো হয়নি।’

(ঢাকাটাইমস

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin