bikhob

ঢাকায় বিএনপির বিক্ষোভ: অংশ নেননি কেন্দ্রীয় নেতারা

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে কেন্দ্রীয় কোনও নেতাকে অংশ নিতে দেখা যায়নি। রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মিছিল হলেও কোনও মিছিলেই দলের বড় কোন নেতার উপস্থিতি ছিলো না।

বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলএর আগে, গত ৩০ নভেম্বর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঘোষণা করেছিলেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। ওইদিন রিজভী জানিয়েছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আগামী ৩ ডিসেম্বর দেশের সব জেলা সদর ও মহানগর এবং ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।

কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশ না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিজভী আহমেদ মোবাইল রিসিভ করেননি। তবে রবিবার সকালে বিএনপির ঢাকা মহানগরের সাবেক সভাপতি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জ্জা আব্বাস একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরে সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে তার চেম্বারে গিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান তিনি।

এছাড়া দুপুরে মহিলা দলের একটি কর্মীসভায় অংশ নেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তবে তাদের কেউই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেননি।

এদিকে, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের থানায়-থানায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এসব মিছিলে থানা ও মহানগরের নেতারা অংশ নিলেও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিক্ষোভে সংগঠনের সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেল ও সেক্রেটারি আবুল বাশার বিক্ষোভে অংশ নেননি।

রবিবার মহানগর দক্ষিণে মিছিল হয়েছে, কদমতলী, খিলগাঁও, রমনা, মতিঝিল, সবুজবাগ, হাজারীবাগ, শাহজাহানপুর, কামরাঙ্গীরচর, মুদগা, চকবাজার, গেণ্ডারিয়া, ওয়ারী, সূত্রাপুর, নিউমার্কেট, বংশাল, কোতোয়ালী, শ্যামপুর, লালবাগ, ডেমরা, কমদতলী, কলাবাগান, ধানমণ্ডি ও শাহবাগ থানা এলাকায়।

উত্তরে মিছিল হয়েছে বাড্ডা, পল্লবী, খিলক্ষেত, শেরে বাংলা নগর, মোহাম্মদপুর, উত্তরখান, বিমানবন্দর, তেজগাঁও, উত্তরা পূর্ব থানা, উত্তরা পশ্চিম থানা, শাহআলী, মিরপুর, রূপনগর, দারুস সালাম, ভাসানটেক ও দক্ষিণখানে।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ দফতর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজকের বিক্ষোভ ছিলো থানায়-থানায়। গত বৃহস্পতিবার সভাপতি সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার মিছিল করেছিলেন। আগামী দিনের কর্মসূচিতেও তারা থাকবেন।’

উৎসঃ   বাংলা ট্রিবিউন

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin