গণমাধ্যমে গুঞ্জন চলছে। আল-জাজিরার পক্ষে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ৪ সংবাদকর্মী। এদের মধ্যে অন্তত দুজন মূলধারার গণমাধ্যমে উচ্চপদে আছেন। একজন একটি টেলিভিশন চ্যানেলে কর্মরত। অন্য দুই জন এনজিও কর্মী।
এনজিও কর্মীদের মধ্যে একজন বিএনপি পন্থী হিসেবে পরিচিত। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীর পর তার এনজিও থেকে ঐ ঘটনার বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছিল।
জানা গেছ, সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতির তথ্য অনুসন্ধানে তারা তথাকথিত আল-জাজিরা ইনভেস্টিগেটিভ টীমের সদস্য হিসেবে কাজ করছে। আল-জাজিরা তাদের ভাড়া করেছে। সম্প্রতি আল-জাজিরার জেমস ক্লেনফিন্ড নামীয় একজন ফেসবুকে বাংলাদেশ সম্পর্কে তথ্য আহবান করেছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশে বিএনপি-জামাতপন্থী সাংবাদিকদের কয়েকজন আল-জাজিরার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করছেন। বাংলাদেশ নিয়ে আল-জাজিরা যে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করার প্রকল্প নিয়েছে, তাতে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে, লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া এবং যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা। আল-জাজিরা শুধু তাদের নাম ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে বিপুল অর্থের বিনিময়ে।
অন্যদিকে, আল-জাজিরার মধ্যেই বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতা নিয়ে মতদ্বৈধতা সৃষ্টি হয়েছে। আল-জাজিরার সম্পাদকীয় প্যানেলের কয়েকজন বিষয়টি অশোভন এবং বাড়াবাড়ি হচ্ছে বলেও স্বীকার করেছেন।
আল-জাজিরার সম্পাদকীয় বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বাংলাদেশের একাধিক ব্যক্তি। তারা এ বিষয়ে দু:খ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে আল-জাজিরার সম্পাদকীয় নীতি বিতর্কিত এবং সরাসরি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে। তাই কয়েকজন এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করলেও শেষ পর্যন্ত আল-জাজিরা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবে কিনা, তা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে।
তবে, একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পলাতক কয়েকজন তথাকথিত সাংবাদিক, বাংলাদেশে থাকা কিছু বিএনপি-জামাত অনুরক্ত সংবাদকর্মী এবং টকশোতে সরকারের পক্ষে কথা বলা কিন্তু গোপনে বিদেশে অবস্থানরত ঐ সংবাদকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখা কিছু সংবাদকর্মী বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতায় রশদ যোগাচ্ছে।
এরা এই ইস্যুটি জিইয়ে রাখতে চেষ্টা করছে। তবে, সরকারের একাধিক শীর্ষ ব্যক্তি বলেছেন ‘আল-জাজিরার এই রিপোর্ট, দেশের মানুষই প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা যে অসৎ উদ্দেশ্যে এই অপ প্রচার চালিয়েছিল,তা ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার