ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর যা বললেন তাবিথ আউয়াল

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আজ কিন্তু সত্যিকারে সমস্ত বাংলাদেশি তরুণদের বিজয় হলো। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনেক আগেই বলেছেন যে, আগামীর বাংলাদেশ হবে তরুণদের বাংলাদেশ। সেই ধারাবহিকতায় দেখত পাচ্ছি উনি (খালেদা জিয়া) উনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন।

সোমবার রাতে দল থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার পর ঢাকা উত্তরবাসীদের প্রতি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন, কিন্তু এখন ও নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে প্রার্থী হননি, সেজন্য তিনি সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন।

মনোনয়ন পেয়ে তাবিথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনী আইন মেনে এখনও কোনো ধরনের প্রচার শুরু করা হয়নি। শিগগিরই মেনিফেস্টো ঠিক করে গণমাধ্যমের সামনে আসবো।’

এর আগে সোমবার রাতে খালেদার সভাপতিত্বে বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড আগ্রহীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান।

দলের অন্য প্রার্থীদের ধন্যবাদ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করে তাবিথ বলেন: ‘আমি আশা করি উনাদের দোয়া ও সহযোগিতায় ভালো কিছু উপহার দিতে পারব। দলে প্রার্থী হতে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসা অন্য চারজনকে ধন্যবাদও জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ।

এ সময় তিনি নিজে দাঁড়িয়ে পাশে বসা সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান রঞ্জনকে চাচা সম্বোধন করে তার সঙ্গে করমর্দন করেন।

তাবিথ বলেন, আগামীতেও আমরা দেখব অনেক তরুণ এই রাজনৈতিক দলের মাধ্যমেই দেশসেবাতে যোগ দিতে পারেন। এই মুহূর্তে এর বেশি বলার নাই। কারণ আপনারা সকলেই জানেন যে, আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অগ্রগতির দিকে যাচ্ছি।

এদিকে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন: ‘এই মুহূর্তে আমি আমার কমেন্ট রিজার্ভ রাখতে চাচ্ছি। কারণ নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে একটি মেটার সাবজুডিশন আছে। আমি নিজে এখনও বিধিমালা মোতাবেক অফিসিয়াল প্রার্থী হতে পারিনি। আর এরকম প্রচার করে আমিও চাচ্ছি না নির্বাচন বিধিমালা ভঙ্গ করতে। তাই দয়া করে একটু অপেক্ষা করুন আমি শিগগিরই আপনাদের মাঝে উত্তর নিয়ে আসব।’

অন্যদিকে তাবিথ আউয়ালকে বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ফখরুল বলেন, যে পাঁচজন প্রার্থী হতে আবেদন করেছিলেন, তাদের মধ্যে ভোটে জয়ী হয়ে আসার মতো প্রার্থী হিসেবে তাবিথকেই দেখছেন তারা।

‘আমরা মনে করেছি, হি ইজ দ্য বেস্ট ক্যান্ডিডেট, সবচেয়ে ভালো ক্যান্ডিডেট, ফিটেস্ট ক্যান্ডিডেট। অন্যরাও যোগ্য ছিলে। তার মধ্যে তাবিথকে মনে হয়েছে, এই নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য সবচেয়ে যোগ্য ক্যান্ডিডেট।’

এর আগে সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে গুলশান কার্যালয়ে মনোনয়ন বোর্ডের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মনোনয়ন বোর্ডে সভাপতিত্ব করেন খালেদা জিয়া। পদাধিকারবলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

তাবিথ আউয়াল এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে ২০১৫ সালে এই সিটি কর্পোরেশনের প্রথম দফা নির্বাচনে তিনি বিএনপির পক্ষ হয়ে লড়েছিলেন। ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হক তাবিথ আউয়ালকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। তবে ভোটের দিন তাবিথ আউয়াল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা করেছিলেন।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin