ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না: রিজভী

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সিটি নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ম্যাসেজ নেই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’ সেই প্রবাদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

রিজভী বলেছেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে যে ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেখানে জনগণ অবাধে পছন্দানুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে এমন কোন পরিবেশ এখনও দৃশ্যমান নয়। জনগণের মধ্যে ভোট নিয়ে উদ্বেগ ও আশঙ্কা আরও গভীরতর হচ্ছে।

গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার (২৫ জুন) সকাল ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন,‘আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় থাকতে পছন্দ করে না, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা থেকে সরে যেতেও পছন্দ করে না। এজন্য রাষ্ট্রের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দখলে রাখা প্রয়োজন মনে করে। সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে দলীয় চেতনার লোক নিয়োগ দিয়ে কর্তৃত্ব সম্প্রসারণের কাজটি সম্পন্ন করেছে আওয়ামী সরকার।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন,‘গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সর্বত্র সরকারের ম্যাসেজ প্রতিপালিত হচ্ছে অক্ষরে অক্ষরে। প্রতিটি লোকালয়ে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরীর কাজ খুব সুচারুভাবেই চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পাইকারী হারে গ্রেপ্তার, বাসায় বাসায় তল্লাশি, বিভিন্ন কেন্দ্রে ধানের শীষের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দকে আটক, নতুন করে মিথ্যা মামলায় হয়রানী, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে আসা ডিবি পুলিশের হানাদারী আগ্রাসন, সরকারী দলের মেয়র, মন্ত্রী ও নেতাদের নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গসহ সর্বোপরি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পুলিশের গাড়িতে করে প্রচারাভিযান ইত্যাদি ঘটনায় সরকারের ম্যাসেজটা কী তা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোটারদের বুঝতে বাকী নেই।

কয়েক দিন আগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন গাজীপুরে খুলনার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। তার মানে খুলনায় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক কারচুপি ও ভোট সন্ত্রাসের যে অভিযোগ করা হয়েছে তার বক্তব্যে সেটিই প্রমাণিত হলো।

এসময় আরো অভিযোগ করেন, গাজীপুরে ভোট ডাকাতির সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়তে ইসি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin