রসিক নির্বাচনে কাউকে প্রভাব বিস্তার ও কেন্দ্র দখলসহ কোনও ধরনের অরাজকতা করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি জারি করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আর যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াডসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে র্যাব ভোটকেন্দ্রগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সিটি করপোরেশন এলাকায় হেলিকপ্টার টহলও দেবে সংস্থাটি।
বুধবার দুপুরে সিটি নির্বাচন উপলক্ষে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি এবং র্যাবের প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রণ শুর হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। বুধবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। গণসংযোগ শেষ হলেও উৎসবের আমেজ নগরীতে। শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি কে হাসবে এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।
সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ বুধবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। পরিস্থিতি ইসির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুজ্জামান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের অবস্থান ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে দেশে-বিদেশের শত শত টেলিভিশন ক্যামেরা আর সাংবাদিক। কেউ এমন কোনও কাজ করবেন না যেন বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
মেয়র পদে সাত প্রার্থী লড়লেও মুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির তিন প্রার্থীর মধ্যে। ৩৩ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ২১২ জন আর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৬৫ জন।
সিটিতে ভোটার ৩ লাখ ৯৩ হাজার, যাদের বেশিরভাগই নারী। ভোটগ্রহণ হবে ১৯৩ টি কেন্দ্রে।এরমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে একটি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলা ইনসাইডার