mirza_fakhrul

জোর করে ক্ষমতার জন্য গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে গুম করে ফেলছে

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে গুম করে ফেলছে।

আজ রোববার ঢাকার প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন। মানববন্ধনে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের গুম ও খুন হওয়া নেতা-কর্মীদের আত্মীয়স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে জলাঞ্জলি দিয়ে শক্তির জোরে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে।

সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করলেই হত্যা, না হলে গুম হতে হচ্ছে। মানবাধিকার যে গুম হচ্ছে, তারই শিকার পরিবারগুলো আজ এখানে উপস্থিত হয়েছে। এখানে আসা পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের ফিরে পাওয়ার জন্য পাঁচ বছর ধরে অপেক্ষা করছে। পাঁচ বছর ধরে তারা আহাজারি করছে।

সাম্প্রতিক গুমের ঘটনার বর্ণানা দিয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, ফরহাদ মজহার পাঁচ মাস পর গণমাধ্যমের সামনে এসে জানালেন তাঁর কাছ থেকে জোর করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, রাষ্ট্রদূত, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক—যাঁরাই গুম হয়েছেন, কেউই এখনো ফিরে আসেননি। যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁরাও কেউ ফিরে আসছেন না।

এ সময় বিএনপির মহাসচিব দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা, অপহরণ, গুম ও খুনের হিসাব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সারা দেশ মামলা, গুম এবং খুনে জর্জরিত হয়ে গেছে।

ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, এই সরকারকে গণতান্ত্রিকভাবে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অদীনে নির্বাচন হতে হবে। আর সে নির্বাচন হতে হবে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে। বিএনপিকে কোথাও অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয় না, এভাবে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা যাবে না।

গুমের শিকার সাজেদুল ইসলামের বোন সানজিদা ইসলাম মানববন্ধনে বলেন, দেশটা এখনো মগের মুলুক হয়ে যায়নি। সরকার কেন বলে গুমের ঘটনা হচ্ছে না? বাড়ি থেকে মানুষকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বলা হয় তারা কিছু জানে না। এভাবে চলতে পারে না। আজকে সবার এই আকুতি প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছাচ্ছে না। যতদিন তাঁদের স্বজনদের ফিরে না পাওয়া যাবে, এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. মঈন খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান, শওকত মাহমুদ, এ জেড এম জাহিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল প্রমুখ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা বিএনপির নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

prothom-alo

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin