kha_tare_job

জোবায়দা আসছেন বিএনপির হাল ধরতে?

মামলার জালে জড়িয়ে পড়া বেগম খালেদা জিয়া এখন বিএনপিতে বিকল্প নেতৃত্ব নিয়ে কথাবার্তা শুরু করেছেন। তাঁর অবর্তমানে তারেক জিয়া নয় জোবায়দা রহমানই যে বিএনপির হাল ধরবেন এমন স্পষ্ট ইঙ্গিত তিনি দলের একাধিক সিনিয়র নেতার কাছে দিয়েছেন।

গত সোমবার সরকার বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে আরও ১৪ টি মামলা সচল করেছে। আইনমন্ত্রী এই ১৪ টি মামলাই পুরাণ ঢাকার বকশী বাজারের অস্থায়ী আদালতে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন। সোমবার সরকার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে। ইতিমধ্যে বকশী বাজারের ওই অস্থায়ী আদালতে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি মামলার শুনানি চলছে।

বিএনপির শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা বলেছেন, ‘বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে আরও ১৪ টি মামলা সচল করার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হলো সরকারের নীল নকশা।’ তাঁর মতে, ‘সরকার বেগম জিয়াকে বাইরে রেখে নির্বাচন করতে চায়। বেগম জিয়াকে অযোগ্য করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।’

সোমবারের সরকারি সিদ্ধান্তের পর বেগম জিয়াও নড়েচড়ে বসেছেন। তিনি দলের কয়েকজন নেতাকে বলেছেন, ‘ আমাকে জেলে রেখে নির্বাচন পার করতে চায় আওয়ামী লীগ, যাতে কোনো আন্দোলন না হয়, কেউ কোনো টু শব্দ না করে।’ বেগম জিয়া এবং তাঁর ছেলে তারেক জিয়া মনে করেন, তাঁদের অনুপস্থিতিতে দলের অন্য কোনো নেতার পক্ষে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব না।

একটি মামলায় ইতিমধ্যে দন্ডিত তারেক জিয়ার আপাতত দেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ কারণেই বেগম জিয়া তার বড় পুত্রবধু ডা. জোবায়দা রহমানকে দেশে এনে বাজিমাত করতে চায়। বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, চলতি মাসেই ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেতে পারেন ডা. জোবায়দা।

ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ডা. জোবায়দা ব্রিটিশ পাসপোর্ট পেতে পারেন বলেও বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিয়ে দেশে এলে তাঁকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা সহজ হবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিএনপি নেতা বলেছেন, ‘জোবায়দা রহমান দেশে ফিরলেই একটি গণজোয়ার তৈরি হবে। কর্মীরা মনোবল ফিরে পাবে। সবচেয়ে বড় কথা, তাঁর আগমনে দলে যাঁরা দল ভেঙ্গে নির্বাচন করতে চায়, তারা কোনঠাসা হয়ে যাবে।

বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কদিন আগেও বেগম জিয়া মনে করতেন তাঁর কিছুই হবে না। চলমান মামলা দুটি থেকেও তিনি খালাস পাবেন। কিন্তু ১৪টি মামলা সচল করার মধ্যে দিয়ে সরকার এই ব্যাপারে যে হার্ডলাইনে তা বুঝিয়ে দিলো। বিএনপি নেতাকর্মীরাও মনে করছেন, বেগম জিয়াকে হয়তো কারাগারেই যেতে হবে এবং সেটা লম্বা সময়ের জন্যই।

এর মধ্যেই এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হলে সংগঠনের নেতা কর্মীদের মনোবল একেবারেই ভেঙে যাবে। এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিএনপির একটি খন্ডিত অংশকে নির্বাচনে আনাই সরকারের লক্ষ্য। সরকারের এই পরিকল্পনার পাল্টা হিসেবেই বিএনপি ডা. জোবাইদাকে মাঠে নামাচ্ছে। বিএনপির একজন নেতা বলছেন, ‘এমনও হতে পারে, জোবায়দার নেতৃত্বে আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে গেলাম`।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin