bnp_jamat

জোটভিত্তিক আসনের তালিকা করছে বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০-দলীয় জোটের আসনভিত্তিক প্রার্থী তালিকা করতে যাচ্ছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে জামায়াতের কাছে একটি তালিকা চাওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জোটের অন্য শরিকদের কাছেও তালিকা চাওয়া হবে। বিএনপি ও জামায়াত উভয় সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে টেলিফোনে এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আমাদের সময়কে বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হলে জোটের শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। নবম ও অষ্টম এ দুই জাতীয় নির্বাচনেই বিএনপি-জামায়াত জোটগতভাবে নির্বাচন করে। অতএব এবারও যে দলের অবস্থান যে আসনে ভালো, সেখানে সেই দলের প্রার্থীকে জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হবে।

বিএনপি ও জামায়াতের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে জামায়াতের কাছে তাদের প্রার্থী তালিকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জামায়াত কোনো তালিকা দেয়নি। এর আগেও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকা অবস্থায় ঢাকায় বিএনপি ও জামায়াতের মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়।

ওই বৈঠকেই বিএনপির পক্ষ থেকে জামায়াতের কাছে তাদের প্রার্থী তালিকা চাওয়া হয়। জবাবে কোন কোন আসন জামায়াতকে ছাড়তে চায়Ñ এমন একটি তালিকা বিএনপির কাছে চাওয়া হয়। সূত্র মতে, ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতকে ৩৮ আসন দিতে বাধ্য হয়েছিল বিএনপি।

জামায়াতের এক নেতা আমাদের সময়কে বলেন, জামায়াত বিএনপির কাছে ৬০টি আসন চাইবে। ইতোমধ্যে এসব আসনের প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। কিছু আসনে দ্বন্দ্ব থাকায় এখনো তা সম্পন্ন করা যায়নি।

বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, জামায়াত চাইলেই তো আর পাবে না। একদিকে তাদের নিজস্ব কোনো প্রতীক নেই। তার ওপর দলটির প্রথম সারির নেতাদের যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন নেতা যুদ্ধাপরাধে ফাঁসিসহ নানা মেয়াদের দ-ে দ-িত হয়েছে। অনেকের বিচার কাজ চলছে।

এ অবস্থায় তাদের প্রভাবশালী নেতাদের সংখ্যা খুবই কম। এ ছাড়া জামায়াত সাংগঠনিকভাবেও আগের মতো শক্তিশালী নয়। বিএনপিও আগের মতো জামায়াতকে কাছের বন্ধু মনে করে না। জামায়াতের বর্তমান নেতাদের নিয়ে সরকারের সঙ্গে নতুন বন্ধুত্বসহ নানা নেতিবাচক গুঞ্জন রয়েছে।

বিএনপি নেতারা আরও বলেন, ৮ম ও ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে জামায়াতের সফলতা আশাব্যঞ্জক নয়। প্রথমবার ৩০টি আসনে নির্বাচন করে ১৭টিতে জয়লাভ করে। এর পর ৩৯টি আসনে নির্বাচন করে জয়লাভ করে মাত্র ২টি আসনে। তাই এবার বিএনপির পক্ষ থেকে দলটিকে ১৫ থেকে ২০টি আসনে জোটগত মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জামায়াতের শীর্ষ নেতারাও এ ক্ষেত্রে অনেকটা নমনীয়।

উৎসঃ   আামদের সময়

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin