‘জিয়া শিশুপার্কের নামফলক থেকে জিয়া শব্দটি এক সপ্তাহের মধ্যে মুছে ফেলা হবে’ বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক। বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা আবারও যাচাই-বাছাই করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত সংখ্যা জানালেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
এর আগে গত জানুয়ারিতে (২০১৮) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সর্বশেষ সংশোধিত তালিকা অনুযায়ী বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার ৫১৩ জন।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য সেলিনা জাহান লিটার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলা ভিত্তিক সকল উপজেলার গেজেটভুক্ত বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা এ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে ।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার আগে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরিত সনদ ইস্যু করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরিত সনদ ইস্যু করে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
জাতীয় পার্টির সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, ৪৭০টি উপজেলা, জেলা, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির মধ্যে ৩৬০টি কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। অপর ১১০টি কমিটির প্রতিবেদন মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেদনগুলো পাওয়ার বিষয়ে নতুন কমিটি গঠনসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
নতুন মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গেজেটভুক্ত হওয়ার পর তাদের নামে সম্মানি ভাতা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করা হবে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে, এমন ব্যক্তিদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে এবং তাদের আপাততঃ ভাতা চালু রাখা হয়েছে। তবে আপিল কমিটি যাচাই বাছাইয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণিত হলে, তাদের অনুকূলে প্রদানকৃত ভাতা বন্ধ করা হবে এবং ইতোমধ্যে তাদের গ্রহণকৃত ভাতা ফেরত নেয়া হবে।
সরকারি দলের মো. আনোয়ারুল আজীম আনারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করার লক্ষ্যে সরকার ২৭১ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়িত করছে।