প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমানের গণতন্ত্র মানে হলো যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান অতিথির দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির দুই দলীয় গণতন্ত্র মানে হলো যুদ্ধাপরাধী, পালিয়ে থাকা রাজাকারদের পুরস্কৃত করে রাজনীতিতে পুনর্বাসন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি রাজাকারদের পুরস্কৃত করে মন্ত্রী বানিয়েছিল।
রাজপথেই নামছে বিএনপি
রায় পর্যন্ত অপেক্ষা নয়, রায়ের আগেই রাজপথে আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি। আর এবারের আন্দোলন হবে ঢাকা কেন্দ্রিক। লন্ডন থেকে বার্তা এসেছে, বেগম জিয়ার আদালতে যাবার পথে সড়কের বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রীয় নেতাদের অবস্থান নিতে হবে।
আগামীকাল ১১ জানুয়ারি বেগম জিয়ার আদালতে যাবার পথে বিভিন্ন পয়েন্টে কেন্দ্রীয় নেতারা অবস্থান নেবেন বলে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
নেতারা অবস্থান নিলে কর্মীরাও থাকবে। বিএনপির চিন্তা হলো এভাবেই মামলার রায়ের আগেই রাজপথ দখলে রাখা। মামলার রায় হবার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাকে অচল করে দেওয়াই বিএনপির লক্ষ্য।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে। এই মামলায় বেগম জিয়া দণ্ডিত হতে পারেন, এমনটাই আশঙ্কা করছে বিএনপি। বিএনপির ধারণা এর মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসনকে নির্বাচনের বাইরে রাখার পরিকল্পনা করছে সরকার। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে, আইন ও বিচার তাঁর নিজস্ব গতিতে চলছে। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই।
সরকার যা-ই বলুক, বিএনপি আবার রাজপথেই যাচ্ছে। তবে, বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছেন রাজপথে অবস্থান নিলেও তাঁদের আন্দোলন সহিংস হবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমরা সমঝোতার মাধ্যমে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছি।
কিন্তু সরকারই আমাদের আন্দোলনের পথে ঠেলে দিচ্ছে।’ তিনি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ১৪ টি মামলা সচল এবং দেশজুড়ে আবার বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
বিএনপির অন্য একজন নেতা বলেছেন, ‘আমাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই সরকার এসব করছে।’
গত সোমবার বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত স্টাফ দলের শীর্ষস্থানীয় নেত্রীবৃন্দকে টেলিফোন করে বলেন, বেগম জিয়ার আদালতে যাওয়া ও আসার পথে বিভিন্ন পয়েন্টে নেতৃবৃন্দকে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে। গুলশানে বেগম জিয়ার বাসভবন থেকে বকশী বাজারের আদালত পর্যন্ত রাস্তায় মোট ১১ টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এইসব পয়েন্টে নেতারা কর্মীদের নিয়ে দাঁড়াবেন। সিনিয়র নেতারা যাবেন আদালতে।
বিএনপি মনে করছে, এরকম অবস্থানের ফলে পয়েন্টে গুলোতে জনসমাগম বাড়বে। এখান থেকেই গড়ে উঠবে আন্দোলন। বিএনপি বলছে, রায়ের পর কিছু হবে না, যা করার রায়ের আগেই করতে হবে। তবে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছে, বিএনপির আন্দেলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির চেষ্টাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বাংলা ইনাসাইডারকে বলেছেন, গত কিছু দিন ধরেই বিএনপি চেয়ারপারসনের আদালতে যাবার পথে কিছু সংখ্যক মানুষ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এটাকে মোকাবেলা করেছে। ভবিষ্যতেও এরকম অবস্থান বা বাধাদান করার চেষ্টা সরকার মোকাবেলা করবে।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশ ঢাকাবাসীর জানমাল রক্ষার সব উস্কানিকেই প্রতিহত করবে।’
বাংলা ইনসাইডার