বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
এর আগে দুপুরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ পৃথকভাবে দুটি মামলায় তৈমূর আলম খন্দকারের জামিন মঞ্জুর করেন।
তৈমূরের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার জানান, হাইকোর্টের বিচারক মো. রেজাউল হক ও খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চে একটি মামলার শুনানি শেষে জামিন প্রদান করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, দুটি মামলার মধ্যে হাইকোর্ট থেকে একটি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালত থেকে অপর মামলায় তৈমূর আলম খন্দকারের জামিন মঞ্জুর হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ার বাইরে থেকে পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তারের পর বিকালে আদালতে পাঠালে তার দুটি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে। পরদিন ২৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সোয়া ১টার দিকে নগরীর চাঁদমারি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য, গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশের ওপর হামলায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মতিয়ার রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার জানান, ২০১৫ সালে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ এলাকায় মিছিল বের করে পুলিশের ওপর হামলা চালান তৈমূর আলম ও তার লোকজন। তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। এই ঘটনায় ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এরপর এই মামলায় ওয়ারেন্ট জারি হলে তৈমূর আলম খন্দকার পলাতক ছিলেন। এরপর মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ২০১৫ সালে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে নারায়ণগঞ্জ শহরে বের হওয়া বিএনপির একটি মিছিলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছিল। এতে জেলা সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকারসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছিলেন। শহরের খানপুরে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অবরোধের সমর্থনে মিছিলটি শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে থেকে চাষাড়ার দিকে আসার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, নগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করে।