alig_bnp

জাপার দুর্গে বিএনপির হানা আওয়ামী লীগে প্রার্থী জট

কুড়িগ্রাম-২ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নেমেছেন। তারা ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ আসনটি জাতীয় পার্টির দুর্গ বলে খ্যাত ছিল। প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকায় এ আসনে  আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। এ কারণে বড় দুই দলে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে।

এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন— জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি জাফর আলী, সাবেক সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আমসাআ আমিন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক-প্রযোজক ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান, আইনবিষয়ক সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম জজ কোর্টের পিপি আব্রাহাম লিংকন, যুগ্ম সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সহ-সভাপতি চাষী এম এ করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ হাসান লোবান, কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র আবদুল জলিল ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু।

এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান। তিনি কয়েক বছর ধরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কুড়িগ্রাম-২ আসনের প্রতিটি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তার বৃহদাকার বিলবোর্ড ও পোস্টার লক্ষ করা গেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলী যথেষ্ট প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি দলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে প্রচারণার কাজ চালানোসহ নেতা-কর্মীদের আপদ-বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

বিএনপির সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন— জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সহ-সভাপতি ও কুড়িগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক সহ-সভাপতি লুত্ফর রহমান, শফিকুল ইসলাম বেবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী মত্স্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আলী আশরাফ মিলন ও হলোখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. উমর ফারুক।

এদের মধ্যে প্রচারণার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ। তিনি মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করাসহ জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচারণার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন সাইফুর রহমান রানা। জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন বর্তমান এমপি ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, মেজর (অব.) আবদুস সালাম ও বিশিষ্ট সমাজসেবক নুরুন্নবী সরকার। বর্তমান এমপি তাজুল ইসলাম চৌধুরী অসুস্থ থাকায় দলীয় মনোনয়নের স্বপ্ন দেখছেন অপর দুই সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। এ ছাড়া হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এস এম ছানা লাল বকসী এমপি প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে সমঝোতা চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ‘সমঝোতা চুক্তি’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা (সরকার) রোহিঙ্গা বিষয়ে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চুক্তি করে ফেললেন মিয়ানমারের সঙ্গে, ভালো কথা। কিন্তু আমি পেলাম কী? কিছুক্ষণ আগে জানতে পারলাম পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্রিফিং করেছেন ২০১৬-তে যারা এলো শুধু তাদের ফেরত নেবে। বাকিগুলোর ব্যাপারে তারা কোনো কথা বলবে না। তাও আবার কখন থেকে ফেরত নেবে, কবে শেষ হবে তাও কিছু বলা হয়নি।’

মিয়ানমার সফর করে দেশটির সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে একটি সম্মতিপত্র সই করে এসে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমার গত ৯ অক্টোবর ২০১৬ এবং ২৫ আগস্ট ২০১৭ এর পরে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী বাস্তুচ্যুত রাখাইন রাজ্যের অধিবাসীদের ফেরত নেবে। এই চুক্তির অধীনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পর ৯ অক্টোবর ২০১৬ এর আগে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী বাস্তুচ্যুত রাখাইন রাজ্যের অধিবাসীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘জাতিসংঘকে সম্পূর্ণ বাইরে রেখে অন্যান্য দেশগুলো যারা ইন্টারেস্টেড তাদের বাইরে এই কাজগুলো করে এলেন অতি দ্রুততার সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী একবারও গেলেন না মিয়ানমারে বা চীনে বা ভারতে বা রাশিয়ায়। আমরা বারবার বলেছি ডিপলোমেটিক যে যে এফোর্স, সেই এফোর্সগুলো আমরা দেখতে পেলাম না।’

কৃষি উন্নয়নে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার নানা পদক্ষেপ এবং দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. ইদ্রিস মিয়া‘র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক তাহমেরী এস ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুজ্জামান কায়সার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস প্রমূখ বক্তব্য দেন।

সেমিনারে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন কচি, অধ্যাপক মো. মাহবুব আলম, অধ্যাপক আমীর হোসেন, অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক সিদ্দিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আবু তালেব, দেলোয়ার হোসেন টিটু, সামিউল ইসলাম, মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম, এনামুল কাদির প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin