বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ১০ মিনিটে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক শুরু হয়।
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাংলানিউজ
হামিদ-হাসিনা একসাথে বিদেশে ঃ অভিভাবকহীন বাংলাদেশ!
একটি পরিবারের প্রাণ হলো অভিভাবক। তারা কাছে না থাকলে পরিবারটি হয়ে যায় প্রাণহীন, কোনো কাজই যেন সঠিকভাবে চলে না। প্রতিনিয়ত ঝামেলার মুখে পড়ে অভিভাবকহীন পরিবার। তেমনি একটি দেশের অভিভাবক হলেন রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে দুই অভিভাবকই আছেন। তবে একই দিনে পৃথক দুটি সফরে বিদেশ যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। হঠাৎই অভিভাবকশূন্য দেশ।
জেরুজালেম পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ সম্মেলন ডেকেছে মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি। ওই সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার তুরস্কের পথে রওয়ানা হবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩ ডিসেম্বর ওআইসির বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সম্মেলনের আগে আগামী ১২ ডিসেম্বর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। আবার ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভা হবে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতিয়েরেস এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের যৌথ আমন্ত্রণে ফ্রান্সে অনুষ্ঠেয় ‘ওয়ান প্ল্যানেট সামিটে’ যোগ দিতে প্যারিসে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তিন দিনের ফ্রান্স সফরে সোমবার ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী।
ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি বাইরে থাকায় কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো সময় সরকারের যেকোনো পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন তাঁরা। এরপরও দুজনের একই সময় বিদেশ সফরে কিছুটা শূণ্যতার কথা স্বীকার করেছেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে থাকা ব্যক্তিরাও।
এমন কয়েকজনের মতে, একই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতি অন্যরকম এক শূন্যতার সৃষ্টি করবে। হয়তো কোনো কাজেই ব্যাঘাত ঘটবে না। রাষ্ট্রযন্ত্রের সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলবে। তারপরও শূণ্যতাটা থাকবেই।
বাংলা ইনসাইডার