khaleda_zia

জনরোষ চাপা দিতেই পাইকারি গ্রেপ্তার: খালেদা

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টুর মুক্তি দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘গুম, খুন, অপহরণ, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং চাল-ডাল-তেল-পেঁয়াজ-লবণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে জনরোষকে চাপা দেয়ার জন্য দেশব্যাপী বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হচ্ছে।’

গত ১৭ নভেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকা থেকে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদককে আটক করে পুলিশ। পরে মতিঝিল থানায় দায়ের করা একাধিক নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আকরামকে রিমান্ডের নামে হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে দাবি করে রবিবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বর্তমান নিপীড়ক সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংস করার জন্য নানামুখী নীলনকশা প্রণয়ন করে চলেছে।

সরকার তাদের দুঃশাসনের প্রতিপক্ষ মনে করে দেশের আদর্শবাদী তরুণ সমাজকে। এজন্যই ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টুসহ সারাদেশের হাজার হাজার ছাত্রদল নেতাকর্মীকে আটকে রাখা হচ্ছে। যাতে উদীপ্ত তারুণ্য বর্তমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সাহসী সংগ্রামে এগিয়ে যেতে না পারে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘দেশের তরুণ সমাজকে ভয়াবহ দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট করে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে অবৈধ ক্ষমতা কন্টকমুক্ত করাই সরকারের উদ্দেশ্য। গ্রেপ্তার করে রিমান্ডের নামে নজিরবিহীন জুলুম-নির্যাতনের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে তরুণ সমাজকে ভয় পাইয়ে দেয়া। কিন্তু বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার জানে না যে, অনাচার, অবিচার ও লুটপাটকারী সরকারকে পরাজিত করতে তারুণ্যকে কোনোভাবেই দমন করে রাখা যায় না।’

ঢাকাটাইমস

বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি

নরসিংদীতে ‘বঙ্গবন্ধু মেধাবৃত্তি’ নামে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এমন মহান ব্যক্তির নামের প্রতি পুরো জাতি দুর্বল। সাধারণ মানুষের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগাচ্ছে একটি প্রতারক সংঘবদ্ধ চক্র ।

এই মহান নেতার নাম ভাঙিয়ে গত দুই বছরে ব্যাপক চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে। লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চট্টগ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তার সহযোগী নরসিংদী সরকারি কলেজের অনার্স (তৃতীয় বর্ষ) পড়ুয়া ছাত্র শহরের ব্যাংক কলোনির জয় ঘোষ ও বেলাব উপজেলার রবিন।

নরসিংদীতে নেই তাদের কোনো অফিস বা ঠিকানা। এই সংঘবদ্ধ চক্রটি প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ‘বঙ্গবন্ধু মেধাবৃত্তি-২০১৭’ নামে ব্যানার ও পোস্টারে ছেয়ে ফেলেছে পুরো নরসিংদী।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু মেধাবৃত্তির জন্য কাউকে অনুমতি দিইনি। কেউ যদি বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে ২০০ টাকা নিয়ে ফরম বিক্রি করেন এবং কারো ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল হয়, তার দায়দায়িত্ব বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নেবে না। আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে ছোট করলে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে সাধারণ জনগণের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

এদিকে, নরসিংদী-৩ আসনের সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা জানান, গত বছর বঙ্গবন্ধু নাম থাকায় আমি বঙ্গবন্ধু মেধাবৃত্তি পুরস্কার অনুষ্ঠানে যাই। কিন্তু পরে খবর নিয়ে জানা যায় তাদের কোনো অনুমোদন নেই। বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এ বছরও শুনেছি ওই চক্রটি আবার বঙ্গবন্ধুর মেধাবৃত্তির নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে।

জাতির কাছে এই চক্রটি আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে খাটো করেছে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে এই চক্রটি আওয়ামী লীগ এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানহানী করছে। তাই তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।

এ ব্যাপারে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লেঃ কর্নেল (অবঃ) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক এমপি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। অনুমোদন না নিয়ে স্বার্থান্বেষী একটি চক্র বঙ্গবন্ধুর সম্মান হানি করবে, বঙ্গবন্ধু মেধাবৃত্তির নামে ২০০ টাকা ফরম বিক্রি করে চাঁদাবাজি করবে, আবার ডোনেশন নেবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান তিনি।

উৎসঃ পরিবর্তন

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin