জনগণ কেন খেসারত দেবে: কর্নেল অলি

‘বড় বড় প্রজেক্ট হচ্ছে। প্রত্যেক দিন উদ্বোধন করা হচ্ছে। জনগণ কেন এটার খেসারত দেবে। বিএনপির আমলে ২৪ টাকা (কেজিপ্রতি) চাল ছিল। আজকে ৬৫ টাকা, কেন আন্দোলন হয় না? পেঁয়াজের দামের জবাব কে দেবে? রসুনের দামের জবাব কে দেবে? দ্রুব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য কে দায়ী? বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) অলি আহমদ।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এলডিপির আলোচনা সভায় অলি আহমদ এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এলডিপির চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য কোনো বিশেষ বরাদ্দ নেই। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের লোকদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

এলডিপির চেয়ারম্যান বলেন, চালের দাম ৬৫ টাকা, পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকায় কেনার জন্য মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেনি, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য মানুষ দেশ স্বাধীন করেছিল।

সংকট নিরসনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি কর্নেল অলির
দেশের চলমান সংকট কাটিয়ে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান তিনি।

অলি বলেন, দেশে বর্তমানে যে সংকট চলছে- জঙ্গি উত্থান, দুর্নীতি, চাঁদাবাজিসহ সব সমস্যার সমাধান সকল দলের অংশগ্রহণে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে সম্ভব।

বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাক নিয়ে কর্নেল অলি বলেন, বিএনপি যে দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য করতে চাইছে, তাদের দিয়ে বৃহত্তর ঐক্য হবে বলে বিশ্বাস করি না।

বিএনপির চেয়ারপারসনের নেয়া ঐক্য প্রক্রিয়াকে এলডিপি কীভাবে দেখছে—এমন প্রশ্নের জবাবে অলি আহমদ বলেন, যারা ২০ দলের বাইরে আছে, তাদের সঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। বিভিন্ন অজুহাতে তারা ২০ দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে অনীহা প্রকাশ করেছে এবং তারা কয়েকটা দল নিয়ে ড. কামাল হোসেন সাহেবের সঙ্গে একটা জোটও করেছিল।

তিনি বলেন, ‘যারা নানা অজুহাতে জোটে আসতে অনীহা প্রকাশ করেছে, তারা যে বৃহত্তর ঐক্য করবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না। এদের অনেকে ধান্দাবাজ, অনেকে দুর্নীতিবাজ। তারা বিভিন্ন কলাকৌশল নিয়ে এগোচ্ছে।’

অলি আহমদ বলেন, প্রাণহীন দেহ ও গণতন্ত্রহীন সমাজের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। চলমান সংকটের সমাধানের জন্য প্রয়োজন সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ মধ্যবর্তী নির্বাচন।

ওই নির্বাচন কার অধীনে হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অলি আহমদ বলেন, যখন সরকার নির্বাচন ঘোষণা করবে, তখন এ বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ হবে। তবে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন আপনি যে-কারো অধীনে করতে পারেন। শুধু একটা কাজ করলে হবে। সেটা হলো প্রত্যেক ভোটার আইডেন্টি কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করবে। কার্ডের নম্বরটা ব্যালট পেপারের উভয় দিকে লিপিবদ্ধ থাকবে। তাহলে জাল ভোট দেওয়ার আর কোনো অবকাশ থাকবে না। কেবল সন্ত্রাসীদের ভোটকেন্দ্র থেকে বাইরে রাখলে হবে।’

সরকার বলে আসছে সংবিধান অনুযায়ী তাদের অধীনেই নির্বাচন হবে—এ বিষয়ে অলি আহমদ বলেন, ‘জনগণের জন্য, দেশের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটার জন্য আমাকে যদি চেয়ার থেকে সরেও যেতে হয়, সেটার জন্য আমাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল করিম, আবদুল গণি, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।

rtnn

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin