mirja_bnp

জনগণের রায় বিএনপি মাথা পেতে নেবে

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যদি আওয়ামী লীগ সরকার থেকে সরে দাঁড়িয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়, তাহলে জনগণই প্রমাণ করবে তারা কাকে চায়। জনগণ যে রায় দেবে, তা বিএনপি মাথা পেতে নেবে।

বিএনপির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেন, এই নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করবে। তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।

বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেলা দুইটার দিকে শেরেবাংলা নগরের চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, যদি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, যদি আওয়ামী লীগ সরকার থেকে সরে দাঁড়িয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়, তাহলে জনগণই প্রমাণ করবে তারা কাকে চায়। জনগণ যে রায় দেবে, তা বিএনপি মাথা পেতে নেবে।

গণতন্ত্র ‘পুরোপুরিভাবে নির্বাসিত’ দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশের মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। জনগণ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না, সাংবাদিকেরা সাহস করে লিখতে পারেন না। মানুষের যে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, সেটাও আজ চলে গেছে। সরকার শাসন করছে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এবং অনৈতিকভাবে।

এ সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করার জন্য সব ব্যবস্থা প্রায় পাকাপোক্ত করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্তের কাজ শুরু করেছিল, আজ সেটা তারা পাকাপোক্ত করে ফেলেছে। আমরা গণতান্ত্রিক লড়াই করছি, গণতান্ত্রিক একটি শক্তির পক্ষে যা করা দরকার, তার চেয়ে আমরা বেশি করছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি বরাবরই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছে। সেই ১৯৮২ সাল থেকে শুরু করে ৯০ পর্যন্ত বিএনপি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন করেছে। তাঁর আপসহীন নেতৃত্বের কারণে দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল।

পরবর্তী সময়ে ১/১১-এর অবৈধ-বেআইনি সরকার আসার পর খালেদা জিয়া যে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন, এ কারণে কিছুটা হলেও গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল। তিনি আরও বলেন, ‘এত কিছুর পরও আমরা গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করছি, গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার জন্য আমাদের সংগ্রাম চলছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

prothom-alo

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin