anisul_kaq_dapon

ছেলের কবরে চিরনিদ্রায় মেয়র আনিসুল

লাখো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বিদায় নিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। শনিবার বেলা সাড়ে ৫টা ২ মিনিটে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। ছেলে মোহাম্মদ শারাফুল হকের কবরে তাকে সমাহিত করা হয়। আসর নামাজের পর বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে আর্মি স্টেডিয়ামে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় মন্ত্রিসভার সদস্যসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। দেশের ব্যবসায়ী সমাজসহ সাধারণ জনগণ এতে অংশ নেন।

আর্মি স্টেডিয়ামে দলমত নির্বিশেষে লাখো মানুষ শেষ বিদায় জানায় স্বপ্নবাজ আনিসুল হক। তাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকে আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত হন। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এ মেয়রকে।

প্রধানমন্ত্রী আনিসুল হকের বনানীর বাসভবনে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদেরকে সমবেদনা জানান। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সর্বস্তরের লোকজন তাকে শ্রদ্ধা জানান। অনেকে কান্নায় ভেঙে পরেন। টেলিভিশনগুলো তার মরাদেহ আনাসহ কবরে সমাহিত পর্যন্ত সরাসরি সম্প্রচার করে।

আনিসুল হকের মরদেহবাহী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি বেলা পৌনে একটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। বিমানবন্দরে পরিবারের পক্ষ থেকে আনিসুল হকের মরদেহ গ্রহণ করেন মেয়রের ছোট ভাই সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মো. শফিউল হক।

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের বাসায় আনা হয়। সেখানে এক বেদনাবিধুর পরিস্থিতি তৈরি হয়। মরদেহ দেখতে আনিসুলের বাসায় আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চলতি বছরের ২৯ জুলাই তিনি যুক্তরাজ্যে গমন করেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরো সায়েন্স হসপিটালে ভর্তি ও আইসিইউতে রাখা হয়। গত ১৩ আগস্ট চিকিৎসকরা তার মস্তিষ্কের রক্তনালীতে প্রদাহজনিত সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস শনাক্ত করেন।

পরে তাকে ৩১ অক্টোবর আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলেটেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন।

২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং বিজিএমইএ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

(ঢাকাটাইমস

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin