pulish_chatrolig

ছাত্রলীগ নেতার ঘুষিতে রক্তাক্ত পুলিশ

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ায় পুলিশের এক সদস্যকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন ছাত্রলীগের একজন নেতা। আরমান হোসেন ওরফে মানিক (২২) নামের ছাত্রলীগের ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার উপজেলার সোনাতলা উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে এ ঘটনাটি ঘটে। আরমান নাগডেমড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাঁর বড় ভাই হারুন-অর রশীদ নাগডেমড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ নাগডেমড়া ইউনিয়নের সোনাতলা উচ্চবিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আরমান পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম তাঁকে বাধা দেন। এ নিয়ে দুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আরমান কনস্টেবল শফিককে কিল-ঘুষি মেরে দ্রুত পালিয়ে যান। পরে শফিককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার ব্যাপারে আরমানের বড় ভাই হারুন-অর রশীদকে পুলিশের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হলে তিনি আরমানকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ আরমানকে গ্রেপ্তার করে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে যায়।

আরমানের বড় ভাই হারুন-অর রশীদ বলেন, ‘আরমান অন্যায় করেছে। তাই আমি তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে সহায়তা করেছি।’

বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান বলেন, ‘আরমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর ভাই আমাদের সহায়তা করেছেন। এ ঘটনায় এএসআই মাহবুব হোসেন বাদী হয়ে আরমানের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় মামলা করেছেন।’

উৎসঃ prothom-alo

সশস্ত্র দিবস উপল‌ক্ষে খা‌লেদার বাণী

সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য এবং শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান আখ্যা দি‌য়ে বিএন‌পি চেয়ারপারসন বেগম খা‌লেদা জিয়া ব‌লে‌ছেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনির দেশপ্রেমিক সদস্যগণ অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বশান্তি রক্ষায়ও তারা পালন করে চলেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।’

‌সোমবার (২০ নভেম্বর) গণমাধ্য‌মে পাঠা‌নো এক বাণী‌তে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

‌তি‌নি ব‌লেন, ‘জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা বাহিনিতে কর্মরত আমাদের সশস্ত্র বাহিনির সদস্যগণ কর্মদক্ষতা ও উঁচুমানের পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনছে। দেশের সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগেও সশস্ত্র বাহিনী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দ্বিধাহীনভাবে সংকট মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’

‘সশস্ত্র বাহিনি দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনির সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সশস্ত্র বাহিনির সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।’

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

বিএন‌পি চেয়ারপারসন ব‌লেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনিকে একটি আধুনিক, গতিশীল ও দক্ষ পেশাদার বাহিনি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন। সেই থেকে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনি সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর এক আধুনিক বাহিনিতে পরিণত হয়, যা বিশ্বের যেকোনো আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনির সমকক্ষ। পরবর্তীতে আমরা সরকারে থাকতে সশস্ত্র বাহিনিকে শহীদ জিয়ার গৃহিত কর্মসূচির ধারাবাহিক বাস্তবায়নের অগ্রগতি সাধিত করে এই বাহিনিকে আরো আধুনিকায়ন ও একে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সচেষ্ট থেকেছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’

‘আমি সশস্ত্র বাহিনি দিবসের সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি’

‌ব্রে‌কিং‌নিউজ

‘সম্মানজনক বিদায় নিতে হলে প্রধানমন্ত্রীকে সমঝোতায় আসতে হবে’

প্রধানমন্ত্রীর সামনে দু’টি পথ খোলা রয়েছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, ‘একটি হচ্ছে সম্মানজনক বিদায় আরেকটি হচ্ছে একেবারে অসম্মানজনক, অপমানিত বিদায়। প্রধানমন্ত্রীকেই পছন্দ করতে হবে কোন মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে চান।’

সোমবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে এ সভার আয়োজন করে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী যুব ফোরাম।

সরকার যদি সমঝোতায় না আসে তাহলে রাজপথের কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে মওদুদ বলেন, ‘সরকার যদি সমঝোতায় না আসে তাহলে রাজপথের আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমরা জানি কীভাবে আন্দোলন করে দাবি আদায় করতে হয়। প্রত্যাশা করি সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর শুভবুদ্ধির উদয় হবে।’

বিএনপির এ নীতি নির্ধারক বলেন, ‘অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। গত দুই বছর কোনো কর্মসূচি দেই নাই। তারপরও সরকার পরিবর্তনে জনগণের মধ্যে বিরাট আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। পরিবর্তন হবেই। জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন দিয়ে বিএনপিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।’

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিনেও একটি মামলার চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সরকারের কতটা আক্রোশের মুখে পড়লে জন্মদিনেও তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। দু’দিন পর দিলে কি হতো?’

তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা তাদেরকে (সরকার) প্রকম্পিত করে। তাই তারা এ ধরনের ব্যবস্থা নেয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ আহমেদ।

প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, শাহজাদা মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মানিক, বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী যুব ফোরামের আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin