khaleda_05

চরম দুর্দিনে জিয়ার পরিবারের পাশে নেই কেউ

বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং তারেক রহমানসহ বাকি আসামিদের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরে তাকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঘটনায় যে ধরনের প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কার করা হচ্ছিল তা হয়নি। এ নিয়ে বিএনপি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে জিয়ার পরিবারের সুদিনের বন্ধুদের ভূমিকা নিয়ে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সাধারণ মানুষের মধ্যে। অনেকে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিএনপি নেতাকর্মী তথা সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের ভূমিকা নিয়ে।

আজ খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপির ঐ সকল অতি উৎসাহী নেতারা কিভাবে বাসায় ঘুমাবে?

জিয়া পরিবারকে ভালবাসার প্রতিদান স্বরুপ অহিংস ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী হিসাবে দেশব্যাপী স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচী দিতে তারা কি পারতেন না?

বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান শক্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠা করেন।

৩০ এপ্রিল ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি শুরু করেন। তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়াই এই দলের সমন্বয়ক এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে এর প্রথম মহাসচিব করা হয়। জিয়ার এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থী সব ধরনের লোক আসে।

বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। সেই থেকে যাত্রা এই দলটির।

এরপর দলটি মোট চারবার ক্ষমতায় আসে। আজ দলের ব্যাপ্তি অনেক দূর। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে ৮০-৯০ বছরের বৃদ্ধও নিজেকে এই দলের লোক বলে দাবি করতে দেখা যায়।

তবে এই দলের বিশালতা সত্ত্বেও ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দলটি বর্তমান সময়ের মতো এতটা সঙ্কটে ইতোপূর্বে কখনো পড়েনি। অন্যদিকে সুদীর্ঘ ইতিহাসে বর্তমান সময়ের মতো তাদের এতো সমর্থনও কোনোকালে ছিল বলে মনে করে না দলটির অনেকেই। এমন কি জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশাতেও নয়।

ফলে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যদি আজ জীবিত থাকতেন তবে নিশ্চয়ই তিনি তার দলটির বিশাল ব্যাপ্তি ও অগণিত কর্মী-সমর্থক দেখে সত্যিই অনেক খুশি হতেন, আনন্দিত হতেন। রাজনীতিকে উপভোগ করতেন অন্যভাবে।

অন্যদিকে বর্তমান দুরাবস্থার জন্য ব্যথিত না হয়ে এর পেছনের কারণ জানার চেষ্টা করতেন। এবং সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য পথ খুজতেন। দেশপ্রেমিক বিচক্ষণ জিয়া হয়তো বা একটা সুন্দর মসৃণ পথ পেয়েও যেতেন। এমনটিই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

কেননা, তাদের মতে, জিয়া সেই ব্যক্তি, যখন ১৯৭১সালে জাতীয় ইতিহাসের চরম দুর্যোগময় কাল। যখন সকলেই ২৫ মার্চ মধ্যরাত ইতিহাসের পৈশাচিক গণহত্যার ভয়াবহতায় হয়ে পড়েছিলেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। আক্রান্ত অসহায় দেশবাসী হতবিহবল এবং অনেকে আত্মসমর্পণ কিংবা দালালির মাধ্যমে বেছে নিয়েছিলেন আত্মরক্ষার পথ।

সেই সময় কালুরঘাটের বেতার কেন্দ্র থেকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তার সেই কন্ঠস্বর ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’। দেশের রাজনৈতিক বিভাজনে এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে বির্তক যাই করা হোক না কেন, সবকিছু উপেক্ষা করে সেদিন যে জীবনবাজি রেখে জাতির পক্ষে জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার যুগান্তকারী দুঃসাহসী ঘোষণা দিয়েছিলেন এটা অস্বীকার করার মতো কারো সুযোগ নেই। কেবল ঘোষণার মধ্যেই নিজের কর্তব্যকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। স্বাধীনতাকামী সৈনিক জনতাকে সংগঠিত করে বিক্ষিপ্ত বিদ্রোহ ও প্রতিরোধের লড়াইকে তিনি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে উন্নীত করেছিলেন।

কিন্তু তার গড়া সেই দল আজ খুবই সঙ্কটে। তার পরিবারের সদস্যরাও খুবই দুর্দিনে। এই দুর্দিনে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের পাশে নেই সেই সুসময়ের লোকেরা। এখনো অনেকে খয়ের খাঁ’র মতো কাছে ঘুর ঘুর কররেন অথচ আন্দোলনে মাঠে-ময়দানে নেই।

‘সুসময়ে অনেকেই বন্ধু বটে হয় অসময়ে হায় হায় কেউ কারও নয়’- এ প্রবাদ বাক্যটি যেন জিয়া পরিবারের জন্য চরম বাস্তবতা।

স্বামীর ৪০ বছরের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি ছাড়া, পুত্র হারানো ও নির্বাসনের শোক, অবশেষে নিজের জেলে গমন। এমন কঠিন দুর্দিনে ম্যাডাম জিয়ার চোখের পানিও যাদের আন্দোলনের মাঠে নামাতে পারেনি। দলের যারা অতীতে অনেক আখের গুছিয়েছেন, সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, তাদের ভূমিকা কী? এখনই বা তারা কী করছেন? সরকারের সঙ্গে আঁতাতে কারা এখনো তাদের সম্পদের পাহাড় আঁকড়ে ধরে আছেন?

সূত্র মতে, মন্ত্রী-এমপি হওয়ার জন্য এখনো নিত্যদিন যারা ছক আঁকেন এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ আঁকড়ে রয়েছেন বছরের পর বছর; তারা আজ কোথায়, তারা কী করেন। সবমিলেই এখন নতুন হিসাব নিকাশের সময় এসেছে জিয়া পরিবারের।

আজ চরম দুর্দিনে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের পরিবার। চারদিকে অন্ধকার, একের পর এক ঝামেলা ঘিরে ধরছে। কোনো দিকেই আশার আলো নেই। কোনোমতেই যেন এই দুর্দিন কাটছে না।

বয়স ৭২, বিধবা হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সেই। অবুঝ দুই ছেলেকে নিয়ে পথচলা শুরু। এরপর নিয়তির ডাকেই রাজনীতিতে আসা। দলে স্বামীর শূন্যতা পূরণে নেতানেত্রীদের পীড়াপীড়িতেই আশির দশকের গেড়ার দিকে অনেকটা হঠাৎ করেই রাজনীতির মাঠে আসেন।

একদিকে অবুঝ দুই শিশু সন্তান নিয়ে ঘর-সংসার; অন্যদিকে স্বামীর হত্যাকারী জেনারেল এরশাদকে উৎখাতে মাঠের রাজনীতি। এরপরও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বেগম জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বেই ’৯০-এর পটপরিবর্তন ঘটে। দল সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হওয়ার পরও জিয়ার ইমেজ আর তার আপোষহীন অসাধারণ নেতৃত্বের আকৃষ্ট হয়ে মানুষ বিএনপিকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে। এরপর আরো দুইবার ক্ষমতায় বসেন বেগম জিয়া।

সাংবাদিক মাহফুজ আনামের ভাষায় সেই সময়টা খালেদা জিয়ার জীবনের ‘শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত’। ‘এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়টি যদি বেগম খালেদা জিয়ার জীবনে ‘শ্রেষ্ঠ সময়’ হয়ে থাকে তবে পরবর্তীতে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনটি তার জীবনের সবচেয়ে ‘অন্ধকার সময়’।’

‘আপোসহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিতি খালেদা জিয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে স্বাধীনভাবে চিন্তার মাধ্যমে পরিস্থিতির মূল্যায়ন, দ্রুত সমন্বয় এবং বুদ্ধিদীপ্ত প্রতিক্রিয়া দেখাতে ব্যর্থ হন। এর অন্যতম উদারহরণ প্রধানমন্ত্রীর ফোনের বিষয়টি এবং নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা গঠনে সাড়া দিতে ব্যর্থ হওয়া।’

‘এর শুরুটা হয় ২০০৮ এর নির্বাচনকে দিয়ে। ওই নির্বাচনের পরাজয়কে জনগণের রায় হিসেবে না মেনে তাকে তথাকথিত ‘১/১১ সরকারের’ মেকানিজম হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। এমনকি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সরকার চালানোর সময় তার ছেলে যে ভুল করেছেন তা তিনি পর্যালোচনা করেননি।’

এর আগে ১৯৮১ থেকে ২০১৫ এই ৩৪ বছরে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে জিয়া পরিবারকে। চড়াই-উৎরাই পাড় করতে হয়েছে তাকে। এরশাদের শাসনামলে ’৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় তাকে চরম জুলুম-নির্যাতন সহ্য করতে হয়। অতঃপর ২০০৭ সালের ১/১১ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিনের সময় তাকে কারাগারে যেতে হয়। দুই ছেলেকেও পাঠানো হয় কারাগারে। ছেলেদের উপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন।

এরপরও খালেদা জিয়া এমন একজন রাজনীতিক। কখনো ক্ষমতায় থেকেছেন আবার কখনো বিরোধী দলে থেকেছেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রীয় কোনো পদে নেই, নেই সংসদেও। না থাকলে কী হলো, দেশের জনপ্রিয় দলগুলোর অন্যতম বিএনপির চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোটনেত্রী। দেশের মানুষের ‘ভোটের অধিকার’ আদায়ের দাবিতে তার নেতৃত্বে চলছে ১০ বছর ধরে আন্দোলন। মূলত জনগণকে ঘিরেই তার সব কিছু। কিন্তু এখন তার জীবনে চরম দুর্দিন চলছে।

সরকার বিরোধী আন্দালনের মধ্যেই ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো নির্বাসনে থাকাবস্থায় মারা যান। লাখো মানুষের শ্রদ্ধা-ভালবাসায় ২৭ জানুয়ারি লাশ দাফন করা হয়। আর বড় ছেলে তারেক রহমান সেই ২০০৮ সাল থেকেই স্বপরিবারে নির্বাসনে রয়েছেন।

২০০৯ সালের মে মাসে ৪০ বছরের স্বামীর স্মৃতি বিজরিত বাড়ি ছাড়া হয়ে উঠেছেন ভাড়া বাসায়। এখানেই শেষ নয়, খালেদা জিয়া, ছেলে তারেক রহমান ও তার বিরুদ্ধে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন আদালতে অর্ধশতাধিক মামলা।

১৯৮১ থেকে ২০১৭ এই ৩৭ বছরে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে জিয়া পরিবারকে। চড়াই-উৎরাই পাড় করতে হয়েছে তাকে। এখন চরম দুর্দিন চলছে। ফলে সামনের দিনগুলো আরো বেশী চ্যালেঞ্জের মুখে এই পরিবারটি।

৩৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এর আগে খালেদা জিয়া একবারই কারাগারে যান। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি গ্রেপ্তার হন। তাকে সংসদ ভবন এলাকার স্থাপন করা বিশেষ কারাগারে রাখা হয়। পাশাপাশি আরেকটি ভবনে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশে মুক্ত হন খালেদা জিয়া। ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি প্রাথমিক সদস্য হিসেবে বিএনপিতে যোগ দেন খালেদা জিয়া। এরপর তিনবার পুলিশ তাকে আটক করে। তবে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়নি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর আটক হন তিনি।

এর মধ্যে প্রথম দুবার ঘটনাস্থল থেকে আটক করে তাকে বাসায় পৌঁছে দেয় পুলিশ। ১৯৮৭ সালে হোটেল পূর্বাণীতে এক অনুষ্ঠান থেকে আটক করে আরও কয়েকজন নেতার সঙ্গে তাকে কিছু সময় মতিঝিল থানায় নেওয়া হয়। অবশ্য পুলিশ সে সময় তাকে গ্রেপ্তার বা আটকের বিষয়ে কোনো কিছু বলেনি। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ‘অঘোষিত’ভাবে তাকে গৃহবন্দী থাকতে হয়েছে।

তবে এটা আইনানুগ নয়।বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সময় ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর গুলশানের বাসায় অবরুদ্ধ করা হয় তাকে। আর ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি তার গুলশানের কার্যালয়ের দুই পাশে বালুর ট্রাক রেখে অবরুদ্ধ করা হয়। ৯৩ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আদালতে হাজিরা দিয়ে বাসায় ফেরেন তিনি।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin