গুলি করে খুলি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি সাবেক সাংসদ মকবুলের!

ছর বছর বেতন বৃদ্ধি বন্ধসহ আট দফা দাবিতে আন্দোলনে নামা বেসরকারি এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের খুলি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন সাবেক সাংসদ এম মকবুল হোসেন। আজ রোববার সকালে এই ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ এম মকবুল হোসেন এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, আট দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আজ সকাল আটটা থেকে হাসপাতালের সামনে অবস্থান করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান এম মকবুল হোসেন। তিনি পুলিশকে পাশে রেখে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।

মকবুল বলেন, ধর্মঘট করলে তাঁর কোনো সমস্যা হবে না। বেশ কটি মেডিকেল কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। তিনিও বন্ধ করে দেবেন।

মকবুল বলেন, ‘আমার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে সরকার। যারা ইতরামি করবে, খুলি উড়াইয়া দেবে।’

শমরিতা মেডিকেল কলেজের বিদেশি এক ছাত্রীকে উদ্দেশ করেও হুমকি দেন মকবুল।

তবে শিক্ষার্থীরা মকবুলের হুমকিতে পিছু হটেননি। তাঁরা শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে ভেতরে রেখে বাইরে থেকে তালা মেরে দেন।

বেলা পৌনে দুইটার দিকে শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেন।

 

প্রথম – আলো

রাষ্ট্র ও জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে: খসরু

সংবিধান কোন ঐশি বাণী নয় যে এটা পরিবর্তন করা যাবে না। রাষ্ট্রের ও জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করতে হয় ও করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রবিবার তোপখানাস্থ বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও সাপ্তাহিক জয়যাত্রার নির্বাহী সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম মিন্টুর নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত এক প্রতিবাদী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চাচ্ছে। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে সংবিধানকে প্রথম ক্ষয়ক্ষতি করেছিল আওয়ামী লীগই। তারাই সংবিধানের প্রদত্ত গণতান্ত্রিক অধিকারকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আজ আবারো সংবিধানের দোহাই দিয়ে গণতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিজেদের একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের অপশাসনের ফলে রাষ্ট্রে প্রধান তিন স্তম্ভ সংদস, বিচারবিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ আজ ধ্বংস প্রায়। ফলে দেশ আজ যেখানে দাড়িয়ে আছে সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কঠিন।

তিনি বলেন, বর্তমানে যে অপশাসন চলছে তা ১/১১ এর অপশাসনেরই ধারাবাহিকতা মাত্র। আওয়ামী দু:শাসনে আজ গণতন্ত্র ধ্বংস প্রায়। জনগণের ভোটাধিকারসহ প্রায় সকল অধিকারই কেড়ে নিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় দেশ চলতে পারে না। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিকভাবে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের মুক্তির লক্ষে প্রয়োজনে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। সংবিধানে পারষ্পরিক সংঘাতপূর্ণ বিষয়গুলোকেও সংশোধন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সরকারের মনে রাখা উচিত শুধু উন্নয়ন দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায় না। শুধু উন্নয়নই যদি ক্ষমতায় থাকার মূল বিষয় হতো তাহলে আইয়ূব খানের পতন হতো না। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে, কন্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়ে কোন স্বৈরশাসক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin