রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দলটি।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এক সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এতে দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর দেশের ৪ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারের দিন ঢাকা-১৮ আসনের দুপক্ষের সংঘর্ষে ১৭ জন নেতাকর্মী আহত হন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কফিল উদ্দিন ও যুবদলের উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরের সমর্থকদের মধ্যে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
কূটনৈতিক পাড়া হিসেবে পরিচিত গুলশান-২ এলাকায় এমন সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সিনিয়র নেতারা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনাও দেয়া হয় ওই সময়ে।
কিন্তু কমিটি গঠনে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ওই আসনের অপরাপর সাত মনোনয়নপ্রত্যাশী তারেক রহমানের কাছে লিখিত আবেদন জানান। এর প্রেক্ষিতে দলের হাইকমান্ড কমিটি গঠনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
খায়রুল কবির খোকন জানান, তিনি মাত্র দায়িত্ব পেয়েছেন। যে ঘটনা গুলশানে ঘটেছে তার প্রকৃত তদন্ত তিনি করবেন এবং দোষীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রকে অবহিত করবেন।
তিনি কারও পক্ষাবলম্বন না করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য যা করার দরকার তাই করবেন বলে আশ্বাস দেন।
কতদিনে এ তদন্ত শেষ করতে বলা হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো টাইমলাইন তাকে দেয়া হয়নি।’ তবে শনিবার থেকেই তিনি কাজ শুরু করবেন বলে জানান।