গায়ের জোরে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে : দুদু

গায়ের জোরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তি দরকার। গায়ের জোরে তাকে আটকে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দল কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

দুদু বলেন, দেশে যদি আইনের শাসন থাকত তাহলে সুবিচারের প্রশ্ন আসত না। দেশে যদি গণতন্ত্র থাকত তাহলে সুবিচারের প্রশ্ন আসত না। দেশে মুক্তিযুদ্ধ যে কারণে হয়েছিল, তার চেতনা থাকলে তাহলে সুবিচারের প্রশ্ন আসত না। বাংলাদেশকে সারাবিশ্বের কাছে স্বৈরতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গণ্য করেছে এ সরকার।

তিনি বলেন, এ সরকারের সময়ে বাকস্বাধীনতা নেই। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষ কথা বললে এদিক-ওদিক তাকিয়ে কথা বলতে হয়। মোবাইলে কথা বললে বলে, ভাই বাসায় আসেন কথা বলবো। এ হলো অবস্থা। ভয়ংকর একটা পরিস্থিতিতে আমরা বসবাস করছি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ থাকলেও সহজে সরকারে আসবে বিএনপি। আওয়ামী লীগ যতই মনে করেন তারা অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকবে, তাহলে তো পাকিস্তান থাকতো, ব্রিটিশরা থাকতো। বেগম জিয়াও প্রধানমন্ত্রী হবেন একদিন। বিএনপিও ক্ষমতায় আসবে।

উদাহরণ টেনে দুদু বলেন, নারীরা যখন ভাত রান্না করে, তখন মাড় দেখলেই বুঝতে পারে। তারপরও দু-একটা ভাত টিপে দেখে কনফার্ম (নিশ্চিত) হওয়ার জন্য। হাড়ির সব ভাত টিপতে হয় না। এ সরকার কেমন সরকার তা দু-একটা টিপলেই বোঝা যায়। কিছুদিন আগে আমরা দেখলাম সম্রাট একটা ভাত, এখন পাপিয়া।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ একটা কর্মীর যে টাকা আছে তা একটা ব্যাংকেও নেই। এই মেয়েটি (পাপিয়া) যদি এই দল না করতো তাহলে এতো অধঃপতন হতো না। দল তাকে (পাপিয়া) সাম্রাজ্যের মতো তৈরি করেছে। সম্রাট তো মহাসম্রাট। এই যদি সাধারণ পর্যায়ের অবস্থা হয়, তাহলে উপরের দিকে উঠলে কী অবস্থা দেখব আমরা।

নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গ টেনে দুদু বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পিন্টু। কৃষক দলে আমি এক নম্বর, তিনি দুই নম্বর। শুধু একটা দল করার জন্য পিন্টু এখন ফাঁসির আসামি। আমাদের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব। তিনি জেল খেটেই যাচ্ছেন। একটা ছাত্রনেতার নামে ৩০০টি মামলা, এটা কল্পনা করা যায়! এই যে মাহামুদুর রহমান মন্না। একাধিকবার ডাকসুর ভিপি। অনেক আন্দোলন করেছেন। জীবনটাই উৎসর্গ করছেন দলের জন্য। হাফিজ ভাই, মিলন ভাই, নবী উল্লা নবী এদের জেল আর বাসা আলাদা করে দেখার অস্তিত্ব নেই। তারা মনে করেন, আজ বাসায় ঘুমাচ্ছি তাহলে কালকে জেলখানায় ঘুমাবো।

সংগঠনটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন হানিফের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহসানুল হক মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin