বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আখিরাতেও সাজা ভোগ করবেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুল ইসলাম। শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইমাম-ওলামা সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, এতিমের টাকা লুটের কারণে দুনিয়ার সাজা বেগম খালেদা জিয়া পেয়েছেন, আখিরাতেও সাজা পাবেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দী আছেন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। ক্ষমতায় আসতে বিদেশিদের সাথে দরবার করছে বিএনপি। তারা আরেকবার ক্ষমতায় এলে প্রগতিশীল ও সংখ্যালঘুদের ওপর চরম নির্যাতন নেমে আসবে।
এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের সিদ্ধান্ত আদালতের। এখানে সরকারের কিছু করার নেই।
এর আগে একটি সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থা নির্যাতনের ফলে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মতো হবে। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তারা যা করেছে, আবার যদি তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে, তাহলেও আমাদের এভাবে পরবাসী হতে হবে, রোহিঙ্গাদের মতো।
‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে আ.লীগের অবস্থা হবে রোহিঙ্গাদের মতো’
বিএনপি যদি আরেকবার ক্ষমতায় আসে, আওয়ামী লীগের অবস্থা রোহিঙ্গাদের মতো হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার কামরাঙ্গীরচরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থা নির্যাতনের ফলে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মতো হবে, এটা মনে রাখবেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তারা যা করেছে, আবার যদি তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে, তাহলেও আমাদের এভাবে পরবাসী হতে হবে, রোহিঙ্গাদের মতো।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষরা, প্রগতিশীল মানুষ, প্রগতিশীল লেখক, প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ যারা—তাদের তারা এ দেশে শান্তিতে বসবাস করতে দেবে না।
আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি পারবেন না, এটা আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়। খালেদা জিয়া কখন জামিনে মুক্ত হয়ে আসবেন, এটা আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়। অহেতুক কথাবার্তা বলে, মিথ্যা কথাবার্তা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকুন। বরং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ, কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল হোসেন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।