বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোটেক খন্দকার মাহবুব হোসেন যক্তিতর্ক উপস্থাপন করে বলেছেন, ঘষামাজা স্বাক্ষরবিহীন কাগজ দিয়ে মামলা তৈরি করা হয়েছে। সব সাক্ষ্যপ্রমাণে দেখা যায়, এই মামলায় কোনো পয়সার তছরুপ হয়নি। খালেদা জিয়া কোনো অ্যাকাউন্ট খোলেননি। তাহলে সাজা দিতে হবে কেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশী বাজার বিশেষ জজ আদালতে টানা তৃতীয় দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে গিয়ে খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী আরো বলেন, জিয়া অরফানেজের টাকা কুয়েতের আমির পাঠিয়েছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সেই টাকা এনেছিলেন।
ওই টাকা জিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টে গিয়েছিল। অথচ সেখানে কোনো মামলা হয়নি। খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রশ্ন তুলে বলেন, একই যাত্রায় কেন দুই রকম ফল? এটা তো হয় না।
টাকা একই ব্যক্তি দিয়েছিলেন জানিয়ে আদালতকে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ যেভাবে নির্দেশিত হয়েছেন, সেভাবেই অভিযোগপত্র দিয়েছেন। এই মামলায় রাজনৈতিক গন্ধ আছে। মামলা রাজনৈতিক কালিমালিপ্ত।
খন্দকার মাহবুব আদালতের উদ্দেশে বলেন, এখনো অনেক বিচারক আছেন, যাঁরা রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সাক্ষ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার করছেন। ইতিহাসের পাতায় বিচারকদের নাম লেখা থাকে। সাক্ষ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে এই আদালত ন্যায়বিচার করবেন বলে তিনি আশা করেন।
দেশের সর্বোচ্চ জনপ্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে ঘটনার ১৭ বছর পর কেন মামলা করা হলো এমন প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব। তিনি জানতে চান কেন প্রদীপ জ্বলে উঠল?
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে যান খালেদা জিয়া। পরে খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। পরে ১৫ মিনিটের জন্য চা-বিরতি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জন।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এর মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন খালেদা জিয়াসহ চারজন।
উৎসঃ পূর্বপশ্চিম