খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে অনশন কর্মসূচিতে বিএনপি

বিএনিপ’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজার প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। অনশনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতারা অংশগ্রহণ করেছেন।

বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। গতকাল (মঙ্গলবার) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনশনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতারা অংশগ্রহণ করবেন।

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনশন কর্মসূচিতে যোগ দিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছেন বিএনপি ও দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

অনশনে অংশ নিতে সকাল ৯টা থেকেই আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। খন্ড খন্ড ভাবে জড়ো হয়ে ইতোমধ্যেই প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে নানা স্লোগান দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। বিএনপির অনশনকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।

এর আগে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভুয়া ও জাল নথি’র মাধ্যমে সাজানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় সাজা প্রদানের প্রতিবাদে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে যথাসময়ে অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ০৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন।

রায়ে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি চার আসামি হলেন-সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

রায় ঘোষণার পর ওই দিনই কড়া নিরাপত্তায় খালেদা জিয়াকে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। বর্তমানে খালেদা সেখানেই আছেন।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin