bnp-flag

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পরোয়ানা সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে: বিএনপি

চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি সরকারের নীল নকশার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, এটি সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সম্মেলনে বিএনপি প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে রোববার ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে সরকারের নীল নকশার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

রিজভী বলেন, সরকারের বন্য আক্রোশের কারসাজিতে এ গ্রেফতারি আদেশ জারি হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এই আদেশ জারির প্রতিবাদে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।এর প্রতিবাদে আগামী রোববার ৩ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে জেলা সদরের থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দল শনিবার মহানগর ও জেলা সদরে, রোববার থানা ও পৌরসভায় এবং যুবদল শুক্রবার ও ছাত্রদল শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

অবিলম্বে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিও জানান রিজভী।তিনি বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বামদলগুলোর হরতাল থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাজির হতে পারবেন না- এর জন্য সকালেই বিশিষ্ট আইনজীবী আদালতে গিয়ে যথারীতি আবেদন করেছেন।

‘দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান কী করে সেই হরতাল ডিঙিয়ে আদালতে যাবেন? আইনজীবীরা এটার যথাযথ যুক্তি উপস্থাপন করেছেন আদালতে। এমনকি হরতাল শেষ হওয়ার পর খালেদা জিয়া আদালতে আসতে চান বলে আইনজীবীরা আবেদন করেছেন। কিন্তু আদালত- তা নাকচ করে দিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, এই আদেশ ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সরকারের পাশবিক জিঘাংসার প্রতিফলন এটি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মীর সরফত আলী সপু, আফরোজা আব্বাস, আবদুস সালাম আজাদ, কাজী আবুল বাশার, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মুনির হোসেন, সুলতানা আহমেদ, গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন প্রমুখ।

jugantor

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin