খালেদা জিয়ার বিরক্তি, অভিমান, অনাগ্রহ

বিএনপি নেতাদের উপর বেগম জিয়া বিরক্ত। ছেলের উপর তার একরাশ অভিমান আর রাজনীতির উপর তার চরম অনাগ্রহ। একজন আইনজীবী এবং বিএনপি নেতার কাছে এরকম মনোভাবই ব্যক্ত করেছেন বেগম জিয়া। গতকাল বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার আইনজীবী এবং বিএনপি নেতা ব্যরিষ্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন।

এই সাক্ষাতের সময় বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারও উপস্থিত ছিলেন। ব্যরিষ্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, ফিরোজা থেকে বেরিয়ে বলেছেন ‘ বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই, কোন উন্নতি নেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশ যেতে চান। কিন্তু তার জামিনে বিদেশ যাবার অনুমতি নেই।’ 

কিন্তু বেগম জিয়া জিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া এবং শামীম ইস্কান্দারই খোকনকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবার জন্য কি করতে হবে, তা জানতেই বিএনপির এই আইনজীবীকে ডেকে পাঠানো হয়। 

উল্লেখ্য, জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য দ্বিতীয় আবেদনটিও বেগম জিয়া মাহাবুব উদ্দিন খোকন কে দিয়ে লিখিয়েছিলেন। এখন চিকিৎসার জন্য পৃথক আবেদন করার ব্যাপারে খোকনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ব্যরিষ্টার খোকন প্রায় একঘন্টা ছিলেন বেগম জিয়ার সঙ্গে। জানা গেছে, এসময় দলের সিনিয়র নেতারা বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান বলে, খোকন জানান। এর জবাবে, বেগম জিয়া তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করেন। 

সূত্র মতে, ওরা কেন দেখা করবে? উপ নির্বাচন গুলোতে কেন অংশ গ্রহণ করছে বিএনপি তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন খালেদা। সূত্র মতে, বেগম জিয়া জানতে চান ‘ভাইয়ার’ ব্যাপারেও কথা বলেন ব্যরিষ্টার খোকন। তারেক জিয়া দলের সব কিছু দেখভাল করছেন বলেও উল্লেখ করেন মাহাবুব। বেগম জিয়া তারেক জিয়া প্রসঙ্গে কোন কথা বলেন নি।

তারেক জিয়ার ব্যাপারে এক রাশ অভিমান প্রকাশ পেয়েছে খালেদার নীরবতায়। ব্যরিষ্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, সাম্প্রতিক নানা বিষয় খালেদার সামনে তুলে ধরেন। ধর্ষণ, পুলিশের হাতে রায়হান হত্যাকান্ড, সরকার বিরোধী আন্দোলন ইত্যাদি।

কিন্তু এসব কোন বিষয়েই আগ্রহ দেখান নি খালেদা জিয়া। ব্যরিষ্টার খোকন বিএনপি নেতৃবৃন্দকে বলেছেন, রাজনীতির ব্যাপারে কোন আগ্রহই নেই খালেদা জিয়ার। তিনি এখন আইনী প্রক্রিয়ায় বিদেশ যেতে চান।

উল্লেখ্য, বেগম জিয়ার পরিবারের দুজন সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে, খালেদার জামিন ভিক্ষা চান। এরপর গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিশেষ বিবেচনায় ৬ মাসের জামিন দেয়া হয় বেগম জিয়াকে। ২৫ মাস কারাভোগের পর তিনি মুক্ত হয়। বেগম জিয়া দুটি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin