খালেদা জিয়ার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে সরকার: রিজভী

কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রকৃত শারীরিক অবস্থা কেমন তা জানা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। কারাগারে খালেদা জিয়ার প্রাপ্য অধিকার থেকে সরকার বঞ্চিত করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বুধবার নয়াপল্টনস্থ দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন অধিকারসহ সকল অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। ৭৩ বছর বয়স্ক জনপ্রিয় জাতীয় নেত্রীর এখন প্রকৃত শারীরিক অবস্থা কেমন সেটিও আমরা জানতে পারছি না এবং তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সুচিকিৎসা দিতেও বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন। সরকারের প্রধানের নির্দেশে সেই জামিন প্রক্রিয়া আমরা এখন দেখছি স্থগিতাবস্থায়। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দেশনেত্রীর প্রাপ্য অধিকার থেকে পর্যন্ত বঞ্চিত করছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত প্রাপ্ত এই স্বৈরাচার সরকার। দেশবাসী অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি চায়।

খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে টালবাহানা চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন জনগনের মধ্যে ব্যাপক ক্রোধ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে দেশনেত্রীর কারামুক্তি নিয়ে নিষ্ঠুর ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। আর যদি না করে তাহলে কেউ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।

২০ দলীয় জোটে মধ্যে সরকার ধোঁয়াশা তৈরী করছে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে ধোঁয়াশা বিভ্রান্তি, অপপ্রচার চালাচ্ছে ২০ দলীয় জোটের ঐক্য নষ্ট করার জন্য। তবে ২০ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ আছে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচন করবে।

তিনি আরো বলেন, স্কুল থেকে কোমল বাচ্চাদের এবং বস্তির ছেলেমেয়ে দিয়ে হইচই করে উন্নয়নের সমাবেশ করেছে আওয়ামী-লীগ। তিনি বলেন, চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যাই একমাত্র অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ অর্থদণ্ডের টাকা প্রত্যেককে সমান অঙ্কে প্রদান করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। রায়ের পর থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin