জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিশেষ আদালত কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) ৬২৫ জন শিক্ষক।
আজ রোববার সংগঠনের এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতিহিংসামূলক আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
ইউট্যাবের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে এমনিতেই রাজনৈতিক অচলাবস্থা বিরাজ করছে। চাল, ডাল, তেল, গ্যাস বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ঊর্দ্ধমুখী। দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া মূল্যে সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা। কিন্তু সেদিকে সরকার নজর না দিয়ে আজকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড বন্ধ এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিতে ব্যস্ত। এমতাবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির ঘটনায় সেটাই প্রমাণিত হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী ইউট্যাব নেতৃবৃন্দের মধ্যে অন্যতম হলেন- সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড. ফরিদ আহমেদ, অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম মজুমদার, অধ্যাপক সৈয়দ আবুল কালাম আযাদ, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, অধ্যাপক এম ফরিদ আহমেদ, ড. গোলাম রব্বানি, ড. মাহফুজুল হক, ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী (চবি), ড. এম এ বারি মিয়া, অধ্যাপক খায়রুল (শাবিপ্রবি), ড. শামসুল আলম সেলিম (জাবি), ড. সাব্বির মোস্তফা খান (বুয়েট), অধ্যাপক তোজাম্মেল (ইবি) প্রমুখ।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাম রাজনৈতিক দলগুলোর হরতালের কারণে বেগম খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হননি। কিন্তু পরবর্তী হাজিরার জন্য সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
এ আবেদন না মঞ্জুর করে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আমরা মনে করি সময়ের আবেদন করা সত্বেও তার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ঘটনা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতিহিংসামূলক।
dailynayadiganta