খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বেড়েছে

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানি আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। আপিল শুনানিতে আদালত খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১৯ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এদিন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার করা আপিলের ওপর প্রথম দিনের মতো শুনানি গ্রহণ করেন আদালত। আগামী রোববার বেলা ২টায় পরবর্তী শুনানির ক্ষণ ধার্য করা হয়েছে।

ওই মামলায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে খালেদা জিয়া হাইকোর্ট থেকে চার মাসের জামিন পেয়েছিলেন। এই জামিনের মেয়াদ আজ ১২ জুলাই শেষ হচ্ছে।

এর আগে খালেদা জিয়ার এই জামিনের মেয়াদ বাড়াতে আদালতে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ আদালত ১৯ জুলাই পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়ান।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে খালেদার আইনজীবী এ জে মো. আলী পেপারবুকে (মামলার বৃত্তান্ত) গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই উল্লেখ করে ওই সব তথ্য সরবরাহের জন্য একটি আবেদন দাখিল করেন। এ অবস্থায় আদালত বলেন, ‘রোববার আবেদনটি তালিকায় আসবে। আমরা শুনব।’

বেলা ১১টার দিকে আপিলের শুনানি শুরু হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মো. আলী ও আবদুর রেজাক খান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আর দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান।

পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মীর হেলাল প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম দিনের শুনানিতে পেপারবুক থেকে মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে।

এই মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করেছিলেন। ১৬ মে আপিল বিভাগ এক আদেশে ওই আপিল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে খালেদা জিয়া ২৫ জুন আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

এর ওপর ৯ জুলাই শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে বলা হয়, আপিলের শুনানি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ না হলে সময়ের প্রার্থনা বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সে পর্যন্ত আবেদনটি স্ট্যান্ড ওভার মুলতবি রাখা হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। এরপর থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি। এই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। হাইকোর্টের জামিন বহাল রেখে ১৬ মে রায় দেন আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে খালেদার করা আপিল হাইকোর্টে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে ২৮ মার্চ হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি প্রশ্নে রুল দেন।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin