খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে নেতাকর্মীদের ঢল

জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাজিরা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে নেতাকর্মীদের ব্যাপক ঢল নেমেছে। ব্যাপক ধরপাকড়ের মধ্যেই নেতা কর্মীরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে যোগ দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলে তার গাড়িবহরে যোগ দেয় বিপুল নেতাকর্মীরা। হাইকোর্ট মাজার গেটের সামনে থেকে শুরু করে রুপসী বাংলা হোটেল পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই ব্যাপক শোডাউন করে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে আদালতে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর হাজিরাকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আদালত ও এর আশপাশ এবং হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকা ব্যাপক ধরপাকড় চালায় পুলিশ। এসব এলাকা থেকে বিএনপি ও ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

আটককৃতদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ইউনুছ আলী মৃধা, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব, সহ-সভাপতি শাহাদত হোসেন বুলবুল, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেল শিকদার রয়েছেন।

ব্যাপক ধরপাকড়ের মধ্যেই বিকেল ৩টার দিকে আদালত থেকে বের হনে খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি হাইকোর্টের মাজার গেটের সামনে গেলে সেখানে খানিক সময়ের জন্য আটকে রাখা গেট খুলে দেয়া হয়। এ সময় মিছিল আর স্লোগানে গাড়িবহরের সঙ্গে যুক্ত হন হাইকোর্টের ভেতর অবস্থানরত হাজারো নেতাকর্মীরা।

পরে হাইকোর্টের সামনে অবস্থিত কদম ফোয়ারা, মৎস ভবন মোড়, কাকরাইল মোড় হয়ে হয়ে রুপসী বাংলা হোটেল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ধীরে ধীরে অগ্রসর হন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেল পৌনে চারটায় পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসার মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত থেকে বের হন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। আদালত থেকে বের হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মোড়ে আসলেই অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীরা তার গাড়িবহরে যুক্ত হন। বিকেল চারটার দিকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শোডাউন করে সামনে অগ্রসর হন তিনি। গাড়িবহরে নেতাকর্মীরা যুক্ত হওয়ায় রুটে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে গত সপ্তাহে হাইকোর্টের মাজার গেটে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। তবে আজকের চিত্র ছিল একেবারেই ভিন্ন। সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের সঙ্গে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

খানিক সময়ের জন্য হাইকোর্টের মাজার গেট আটকিয়ে রাখলেও খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িটি দোয়েল চত্বর অতিক্রম করার কিছুক্ষণ পরই গেট খুলে দেয়া হয়। এ সময় মিছিল স্লোগানে গাড়িবহরের সঙ্গে যুক্ত হন হাইকোর্টের ভেতর অবস্থানরত নেতাকর্মীরা।

পরে হাইকোর্টের সামনে অবস্থিত কদম ফোয়ারা, মৎস্য ভবন মোড়, কাকরাইল মোড় হয়ে হয়ে রূপসী বাংলা হোটেল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ধীরে ধীরে অগ্রসর হন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। হাজারো নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়ার এই প্রতীকী শোডাউনের কারণে ৪০ মিনিট ধরে এ এলাকার বিভিন্ন রুট দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

গত সপ্তাহেও তিন দিন হাজিরা দিতে বকশীবাজারে এসেছিলেন খালেদা। হাজিরাকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে ছাত্রদলের ৫৩ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছিল সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটওয়ারী। তবে আজও কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরটিএনএন

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin