ershadh_jatio

খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠালে লাখো মানুষ স্বেচ্ছায় কারাবরণে প্রস্তুত: জাতীয় পার্টি

২০দলীয় জোট প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠালে লাখ লাখ মানুষ স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে প্রস্তুত বলে দাবি করেছে জাতীয় পার্টি।

জাতীয় পার্টির দু’দিনব্যাপী বর্ধিতসভার শেষ দিন রোববার এ কথা বলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
গুলশানস্থ জাতীয় পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান ও সাবেকমন্ত্রী ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রীর মোস্তাফা জামাল হায়দারসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সভায় নিম্নাক্ত ৮দফা প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-

১. সম্প্রতি সরকার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয় চাল ও পেয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশ ছোঁয়া দাম বৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে অথচ সরকার নির্বিকার।

২. সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনও নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রাহণ করবে না।

৩. জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩ মাস পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। সভায় বলা হয় সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থায় পৃথিবীর কোনও দেশে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নজির নেই।

৪.বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলার সাজা দিয়ে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে লাখ লাখ মানুষকে স্বেচ্ছায় কারাবরণের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়।

৫. জতীয় পার্টির এই সভায় খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট ভাঙনের অপচেষ্টা ও অনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সেই সাথে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

৬. প্রতিটি জেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির জেলা কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

৭. ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির যারা নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক সে সকল প্রার্থীদের স্ব-স্ব এলাকায় বিএনপিসহ ২০ দলের সকল দলের সাথে মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।

৮. সভায় মত প্রকাশ করা হয় যে, দেশে নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অতীতে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও আন্দোলনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করেছিলো। শুধু তাই নয়, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী, নবাব আলী আব্বাস খান সহ তৎকালিন সংসদ সদস্যবৃন্দ শেখ হাসিনার দাবির সমর্থনে এমপি পদ থেকে পদত্যাগ পর্যন্ত করেছিলেন। ঠিক সেই রূপ এখনও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে সে আন্দোলনে শরীক আছে। জাতীয় পার্টি মনে করে সংবিধানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে গ্যারান্টিই দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিরতা দূর করতে পারে।

সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএমএম আলম, আহসান হাবীব লিংকন, লুৎফর রহমান চৌধুরী হেলাল, নওয়াব আলী আব্বাস খান, আনোয়ারা বেগম, অধ্যাপক ডা. একেএম শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান, মাওলানা রুহুল আমিন, হোসনে আরা আহসাম, খালেকুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।

শীর্ষনিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin