inu_metting

‘খালেদা-জামায়াত চক্রকে আগামীতেও ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে’

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শেখ হাসিনাকে আবারো সমর্থন দিয়ে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন, জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

জঙ্গিদের সঙ্গী বেগম খালেদা-জামায়াত চক্রকে আগামীতেও ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে। তারা আবার ক্ষমতায় এলে দেশে জঙ্গি উৎপাদন শুরু করবে, রাজাকারদের পুনর্বাসন করে দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার বিকালে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলা জাসদ আয়োজিত ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, ফুলবাড়ীয়ার সন্তান সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু একজন পরীক্ষিত যোগ্য নেতা। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস দুর্নীতিমুক্ত উন্নত ফুলবাড়ীয়া গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।

উপজেলা জাসদ সভাপতি মো. আব্দুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ময়মনসিংহ-৬ ফুলবাড়ীয়া আসনের ১৪ দলের মনোনয়ন প্রার্থী, ময়মনসিংহ মহানগর জাসদ সভাপতি ও জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- জাসদ কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আফরোজা হক রীনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, শওকত রায়হান,

নইমুল আহসান জুয়েল, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহহিল কাইয়ুম, ময়মনসিংহ জেলা জাসদ সভাপতি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাদিক হোসেন, জাতীয় কৃষক জোট সাংগঠনিক সম্পাদক রতন সরকার, ময়মনসিংহ জেলা জাসদ যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু, অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন, শাহনেওয়াজ লিটন। সঞ্চালনা করেন উপজেলা জাসদ সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম মাস্টার।

এর আগে তিনি বেলা সাড়ে ১১টায় ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজে বিটিভির ময়মনসিংহ উপকেন্দ্র ও জেলা তথ্য অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিকালে ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের সকল বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ফেরার পথে ফুলবাড়িয়ায় শাহ আলমিয়া এতিমখানা পরিদর্শন করেন।

ঢাকাটাইমস

‘সরকার নামানোর ক্ষমতা মওদুদের আছে?’

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘সরকারকে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানোর ক্ষমতা কি মওদুদ আহমদের আছে? আপনার যদি শক্তি থাকে, আপনি চেষ্টা করতে পারেন।’

গত সোমবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, আগামী নির্বাচন বিষয়ে সরকারকে সমঝোতায় আসতে হবে, না হলে সরকারকে অসম্মানজনকভাবে বিদায় নিতে হবে। তাঁর এ বক্তব্য বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ আজ বুধবার এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘৭ মার্চের মহাকাব্য-বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম–মুক্তিযুদ্ধ ’৭১। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমাকেও মানুষ চেনে, মওদুদ আহমদসহ তাদেরও চেনে। আমি জনাব মওদুদ আহমদকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এই সরকারের অধীনে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে যেকোনো দিন নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। ক্ষমতাসীন সরকার দৈনন্দিন কাজ করবে, অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।’ তিনি বলেন, সরকারকে টেনেহিঁচড়ে নামানো হবে—এ ধরনের অসাংবিধানিক বা অগঠনমূলক বক্তব্য মানুষ পছন্দ করে না।

তোফায়েল আহমেদ অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি ৫০০টি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছিল। চারজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। ৩৪ জন পুলিশকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিলেন যে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে না সরিয়ে তিনি ঘরে ফিরবেন না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন এখনো, আপনার নেত্রী কোর্টে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ঘরে ফিরে গিয়েছিলেন।’

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো সহজ না, তবে এটি অসাধ্যও নয়। ছয়জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ দেশে বৈঠক করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্টও আসবেন। পোপ ফ্রান্সিস বাংলাদেশে এসে মিয়ানমারে যাবেন। তিনি বলেন, ‘আজ হোক, কাল হোক— মিয়ানমার এসব মানুষকে ফেরত নিতে বাধ্য হবে।’

৭ মার্চের ভাষণ বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ দেশে ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এরপর বিএনপি-জামায়াতের আমলেও এ ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না, সেই ভাষণ আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম–মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর মহাসচিব হারুন হাবীব। পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক নুরুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, নারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক বুলবুল মহলানবিশ, কার্যকরী সদস্য শওকত হোসেন প্রমুখ।

উৎসঃ   প্রথমআলো

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin