খালেদার ১৪ মামলা বকশিবাজারে নিয়ে ক্যামেরা ট্রায়ালের গভীর ষড়যন্ত্র: বিএনপি

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা ‌‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ১৪টি মামলা’ বকশিবাজারের বিশেষ আদালতে পাঠানো ‘গভীর ষড়যন্ত্রের’ অংশ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ১৪টি মামলা রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে স্থানান্তর করা প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচার কাজ পরিচালনা করার গভীর ষড়যন্ত্র।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আরও বেশি হয়রানি করতেই সরকারের আর একটি নির্মম পদক্ষেপ। এই কারণেই সরকার এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আপনারা দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় বসেন তাঁর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা বিচারাধীন ছিল। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণসহ হাজার হাজার মামলা চলমান ছিল।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে করা ১/১১ এর অবৈধ সরকারের করা কয়েকটি মামলা ছিল অভিন্ন। অথচ তারা ক্ষমতায় বসার পর প্রধানমন্ত্রীর মামলাসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাজার হাজার মামলা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে নিজেদের মামলাগুলো জাদুর কাঠির ইশারায় প্রত্যাহার হয়ে যায়। আর বিএনপি চেয়ারপারসনসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা জাল ও ভুয়া নথি তৈরী করে মিথ্যা মামলাগুলো চলে সুপারসনিক গতিতে।

এসময় রিজভি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় এমনিতে সপ্তাহে কয়েকদিন আদালতে হাজিরা দিতে হয়। নতুন মামলাগুলো বকশিবাজারে স্থানান্তরের উদ্দেশ্য হলো-বেগম জিয়াকে প্রতিনিয়ত হয়রানীর মধ্যে রাখা এবং অবিরামভাবে হেনস্তা করা।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যঘাত সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগের নীলনকশা অনুযায়ী ১৪ মামলা স্থানান্তর করা হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আবারো একতরফা করতে যে যড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা চলছে এটিও তার অংশ। আওয়ামী দুঃশাসনে অশান্তির আগুনে ভিতরে ভিতরে মানুষ দগ্ধ হচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, আওয়ামী সরকার বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের হাইওয়ের দিকে না গিয়ে চক্রান্তের হদিস করে বেড়াচ্ছে। ক্ষমতার মোহে অন্ধের মতো এরা এখন সুপথের সন্ধান পাচ্ছে না। তাই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে চক্রান্তে মেতে উঠেছে। আমি সুস্পষ্টভাবে বলছি-নিজেদের বোনা চক্রান্তজালে নিজেরাই আটকা পড়বেন। জনগণই রাজপথে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin