খালেদার সাজা হলে শক্ত আন্দোলন

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়। দলটির নেতারা মনে করছেন, এই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হবে। সাজা হলে শক্ত আন্দোলন গড়ে তোলার পক্ষে মত দিয়েছেন নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং কেন্দ্র থেকে মাঠপর্যায়ের নেতারা।

গতকাল শনিবার বিমানবন্দর সড়কের লা মেরিডিয়ান হোটেলে দিনব্যাপী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা হয়।

খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে সরকার বিএনপিকে ভাঙতে পারে—এই আশঙ্কার কথাও সভার দ্বিতীয় পর্বে রুদ্ধদ্বার আলোচনায় আসে। সভায় সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে কেউ দল ভাঙার চেষ্টা করলে তার পরিণতি সম্পর্কেও হুঁশিয়ারি এসেছে। খালেদা জিয়া কারাবন্দী হলে যাঁরা দল পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন, তাঁরা যাতে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দেন, সে পরামর্শও দিয়েছেন নেতারা।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সভা চলে। সারা দেশে ধরপাকড়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত এ সভায় নির্বাহী কমিটির প্রায় সাড়ে চার শ সদস্য অংশ নেন। এর মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন ৯ জন। অসুস্থ থাকায় তরিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও আবদুল্লাহ আল নোমান আসেননি। রুহুল কবির রিজভীকেও দেখা যায়নি।

নির্বাহী কমিটির এই সভা থেকে দলের আগামী দিনের কর্মপন্থা ঠিক করা হবে বলে আলোচনা ছিল। কিন্তু সভায় কেবল আন্দোলনে নামার তাগাদা দেওয়া ছাড়া সুনির্দিষ্ট করে কোনো কর্মসূচি ঠিক হয়নি।

উদ্বোধনী অধিবেশনে খালেদা জিয়া ‘শান্তিপূর্ণ’ ও ‘নিয়মতান্ত্রিক’ আন্দোলনের নির্দেশনা দেন। বৈঠক সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, দলে কোনো ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না, কোনো ধরনের উসকানিতেও পা দেওয়া যাবে না। কেউ স্যাবোটাজ (অন্তর্ঘাতমূলক কাজ) করার চেষ্টা করলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রুদ্ধদ্বার পর্বে খালেদা জিয়া তাঁর অবর্তমানে দল ভাঙার ষড়যন্ত্র সম্পর্কেও কথা বলেন। তিনি সবাইকে এক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, বেইমানির ফল ভালো হবে না। তিনি সকালে উদ্বোধনী পর্বে এক-এগারোর সময়কার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তারপরও আমরা কিন্তু ক্ষমা করেছি। ক্ষমা একবার হয়, ক্ষমা বারবার হয় না। তাই আসুন, বিপদ এলে সবাই একসঙ্গে মোকাবিলা করব, আর সুদিন এলেও একসঙ্গে থেকে দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলব।’

খালেদা জিয়া সামনের পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘যতই বড় বড় নেতা কয়েকজন যাক, ছোট নেতা-কর্মীরা, ছাত্র-যুবকেরা যদি না থাকে, তাহলে তারা কিছু করতে পারবে না। তাদের মন্ত্রী হওয়ার খায়েশ থাকতে পারে, তাদের টাকার লোভ থাকতে পারে, কিন্তু কর্মী বাহিনীর একজনকেও সঙ্গে নিতে পারবে না।’

বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ভবিষ্যতে যদি ফেয়ার নির্বাচন হয়, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়, ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই তাদের মূল্যায়ন হবে। যারা বেইমানি করবে, এক পা এদিকে আর এক পা ওদিকে রাখবে, তাদেরও চেনা যাবে, তাদের কিন্তু কোনো মূল্যায়নের জায়গা থাকবে না।

একপর্যায়ে খালেদা জিয়া জানতে চান, ‘আমরা সবাই এক ও ঐক্যবদ্ধ আছি কি না।’ জবাবে উপস্থিত নেতারা ঐক্যবদ্ধ আছেন জানালে তিনি বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।’ এ সময় ‘আমার নেত্রী, আমার মা, বন্দী হতে দেব না’; ‘আমার নেত্রী, আমার মা, জেলে যেতে দেব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন নেতারা।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের বয়স হয়ে গেছে, ইয়ং লিডারশিপকে (তরুণ নেতৃত্ব) সামনে নিয়ে আসব। যাতে আগামী দিনে তারা দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে, নিশ্চয় তারা পারবে।’

রাজপথে থাকার অঙ্গীকার
রুদ্ধদ্বার পর্বে ৪২ জন নেতা বক্তব্য দেন। বেশির ভাগের বক্তব্যে ছিল আগামী দিনে, বিশেষ করে ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় বিপক্ষে গেলে তখন থেকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথে থাকার অঙ্গীকার। বেশির ভাগ নেতার বক্তব্য ছিল আবেগতাড়িত। তাঁরা ধরেই নিয়েছেন, দলের চেয়ারপারসনকে জেলে যেতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রুদ্ধদ্বার পর্বে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, তিনি শপথ নিচ্ছেন, দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দী হলে তিনিও কারাগারে যাবেন। আর বাইরে থাকলে আন্দোলনে জয়ী হয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন।

নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি এ জেড এম গোলাম হায়দার বলেন, বিগত আন্দোলনে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে জেলাগুলো বিএনপির নেতা-কর্মীরা অচল করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঢাকায় কিছু হয়নি। এবার তাঁরা ঢাকার নেতা-কর্মীদের ভূমিকা দেখতে চান।

বৈঠক শেষে বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিব প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার নেতাদের এবারও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, আগের দুই দফার আন্দোলনে রাজধানীর নেতা-কর্মীরা মাঠে ছিলেন না। এবার রাজধানীতে ঢাকার নেতাদের মূল ভূমিকায় থাকতে হবে। ৩০০ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকা সংগঠিত করবেন।

বেলা ১১টা ৫ মিনিটে খালেদা জিয়া সভামঞ্চে পৌঁছান। দলের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন শোক প্রস্তাব পাঠ করেন। তারপর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। তিনি চলমান পরিস্থিতির উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা আর চুপ করে বসে থাকতে পারি না। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এই কঠিন সময়ে একমাত্র কাজ সুসংগঠিত থাকা, শেষ পর্যন্ত লড়াই করা।’

মহাসচিবের বক্তব্যের পর লন্ডনে অবস্থানরত দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি ভিডিও বক্তৃতা দেখানো হয়।

পরে খালেদা জিয়া বক্তব্য দেন। তাঁকে কিছুটা খোশমেজাজে দেখা যায়। বৈঠক শেষে বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রথম আলোকে বলেন, নেতাদের আবেগতাড়িত, উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্যের পরও খালেদা জিয়া ছিলেন দৃঢ়। তিনি নেতাদের বলেছেন, ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা যাবে না। নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেন তিনি।

তারপরও কি গণতন্ত্র আছে
খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশে এত জায়গা আছে, আমরা তো এখানে সভা করতে চাইনি। আমরা চেয়েছি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, সোহরাওয়ার্দী, অন্যান্য জায়গায়। কিন্তু কোনোটাই দেওয়া হয়নি। তারপরও কি আমরা বলব দেশে গণতন্ত্র আছে?’

খালেদা জিয়া বলেন, এখন আবার ডিজিটাল আইনের নামে নতুন কালাকানুন করা হচ্ছে। জনগণের অধিকারকে হরণ করার জন্য এসব নতুন নতুন আইন করা হচ্ছে। তিনি নিত্যপণ্য ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের অভাবের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশের মানুষ কষ্টে আছে। শেয়ারবাজার ও সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের টাকা লুটপাট-দখল, সুইস ব্যাংকে ক্ষমতাসীনদের টাকা জমা, বিদেশে সেকেন্ড হোম করার কথা বলেন।

এত আগে প্রচারের দরকার পড়ে না
খালেদা জিয়া বলেন, দেশে যদি গণতান্ত্রিক অধিকারই না থাকে, তাহলে নির্বাচনটা হবে কী করে। এখন নির্বাচনের কথা তাঁরা বলছেন, বলেও বেড়াচ্ছেন ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে এত আগে তো প্রচার করার দরকার পড়ে না। তিনি বলেন, নৌকা এমনই ডোবা ডুবেছে যে আর তার জন্য এখন থেকে প্রচার করে মানুষকে জাগাতে হবে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে হাত তুলে দেখাতে হবে।

বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সবাই জানে স্বাধীন বিচার বিভাগ, কিন্তু স্বাধীন নয়। তাঁরা সবচেয়ে পরাধীন। তাঁরা কিছু করতে পারেন না, তাঁরা শুধু হুকুমের নির্দেশ মানতে বাধ্য হন। সর্বোচ্চ আদালতও বলছেন, দেশের নিম্ন আদালত সরকারের কবজায়। সরকারের কথার বাইরে তাঁদের হাজার চিন্তা থাকুক না কেন, সঠিক রায় দেওয়ার ক্ষমতা তাঁদের নেই। তিনি বলেন, তারেক রহমানের মামলার সঠিক রায় দেওয়ায় বিচারককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর্যবেক্ষণগুলো দেখে এ সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাঁকে বলপূর্বক দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে, পরে লোকজন পাঠিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার কোথায়? যেখানে অপরাধই নেই, সেখানে বিচারটা হবে কিসের? তারপরও তারা গায়ের জোরে বিচার করতে চায়। গায়ের জোরে কথা বলতে চায়।’

দুদকের আইনজীবীর সমালোচনা
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেনের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে যে পিপি আছেন, এই পিপি সাহেবকে আমরা কিন্তু মঈনুদ্দীনের সময়ও কোর্টে দেখেছি, এখনো কাজ করছেন। তাঁকে হয়তো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি করছেন। দোষ আমি দেব না তাঁর। কিন্তু তাঁকেও বাধ্য করা হয় যে গলার স্বর এমন উঁচু করে কথা বলবেন, যাতে যারা শুনবার, সিদ্ধান্ত নেওয়ার তারা বুঝতে পারে কোথা থেকে এ শক্তিটা পেয়েছেন।’

মামলা বাড়তে বাড়তে এখন ৩৬টি
এক-এগারোর সময়ের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তখন আমার নামে ছিল ৪টা মামলা। আর হাসিনার নামে ছিল ১৫টা মামলা। ক্ষমতায় আসার পর তাঁর ১৫টি মামলা হঠাৎ শেষ হয়ে গেল। কিন্তু আমার ৪টা বাড়তে বাড়তে এখন ৩৬টি। তাদের নেতা-কর্মীদের সাড়ে ৭ হাজার মামলা তুলে নিয়েছে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে।’

বিএনপিকে ‘মাইনাস’ করতে চায়
খালেদা জিয়া বলেন, দেশে গণতন্ত্র থাকুক, আইনের শাসন থাকুক, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ঠিক থাকুক, সেটা পুলিশও চায়। কিন্তু তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্যায় আদেশ মানতে বাধ্য করা হয়। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে এ দেশের জনগণ আছে, প্রশাসন আছে, পুলিশ বাহিনী আছে, এ দেশের সশস্ত্র বাহিনী আছে। কাজেই বিএনপির কোনো ভয় নেই, ভয়টা আওয়ামী লীগের। সে জন্য এখন কীভাবে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা যায়, সেটাই তাদের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা।

খালেদা জিয়া বলেন, মানুষ অন্যায়-অত্যাচার, গুম-খুন, হত্যা, জেল-জুলুম ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। এ জন্য মানুষ পরিবর্তন চায়। পরিবর্তন আসতে হবে গণতন্ত্রের মাধ্যমে, জনগণের ভোটের মাধ্যমে। সে জন্য নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। কিন্তু সরকার বিএনপিকে ‘মাইনাস’ করতে চায়, যাতে ক্ষমতায় আসতে পারে।

সেনা মোতায়েন ও সংসদ ভাঙার দাবি
খালেদা জিয়া সত্যিকারের নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে মাঠে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মাঠে থাকলে তারা ঘুরবে, দেখবে ভোট ঠিকমতো হচ্ছে কি না, মানুষ কেন্দ্রে আসতে পারছে কি না, অস্ত্র দেখিয়ে বাধা দিচ্ছে কি না, তাহলেই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। তাদের সে দায়িত্ব দিতেই হবে, সেনা মোতায়েন করতেই হবে।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা নির্বাহী কমিটির সভা থেকে পরিষ্কার বলতে চাই, ইভিএম-টিভিএম এগুলো কিচ্ছু চলবে না। এই পার্লামেন্ট ভাঙতে হবে। কারণ এটা বৈধ নয়।’

নির্যাতিত হচ্ছে বিএনপি ও হিন্দুরা
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বিএনপি ও হিন্দুরা। আওয়ামী লীগ হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর, মন্দির এমনকি শ্মশানের জায়গাও দখল করছে। তিনি বলেন, ক্ষমতার দাপট যে আজকে কোথা থেকে কোথা পর্যন্ত গেছে, তার হিসাব নেই। যখন-তখন যাঁকে ইচ্ছা তাঁকে বদলি, চাকরি খাওয়া, গুম করা, অত্যাচার করা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁর হুকুমই হলো শেষ।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘এভাবে বেশি দিন যাওয়া যায় না। বিদেশের দিকে তাকান, অনেক দেশে এমন একচ্ছত্র শক্তিশালী নেতা ছিলেন, আজ তাঁরা কোথায়। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। ওপরে একজন আছেন, তিনি সব দেখছেন। তাই সময় থাকতে সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন। এরপর হয়তো সময় পাবেন না।’

সভা চলাকালে লা মেরিডিয়ান হোটেলের সামনের জায়গায় ছিল বিপুলসংখ্যক পুলিশ, সংবাদকর্মী আর কিছু উৎসুক জনতার ভিড়।

সকালে সেখানে নেতা-কর্মীরা জড়ো হলে বেশ কয়েকজনকে আটক করে সাদাপোশাকে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ফলে বৈঠকের ভেতরে থাকা অনেকের মাঝে গ্রেপ্তার–আতঙ্ক দেখা দেয়। সভা শেষ হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে গাড়িতে উঠে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। নেতাদের বহনকারী গাড়িগুলো ছাড়ার পর তিনি সেখান থেকে বাসার দিকে রওনা হন।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin