বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে আইজিপি বরাবর একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের স্বাক্ষরিত এ চিঠিটি আইজিপি বরাবর দেয়া হয়।
বিএনপির প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চিঠির অনুলিপি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত আইজিপি এবং এসবি বরাবরও দেয়া হয়েছে।
এদিকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী ‘চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)’- এর মাত্র পাঁচজন সদস্য খালেদা জিয়া এবং তারা বাসার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
দলীয় সূত্রমতে, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৭টি আসনে জয় এবং পাঁচটি সংরক্ষিত মহিলা আসন নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। নিকট অতীতে বিরোধী দলের নেতা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এস এস এফ) সুবিধা পেলেও বিএনপি-জামায়াত আমলে সেটা বাতিল করা হয়। সঙ্গত কারণে, বিরোধী দলের নেতা হিসেবে পুলিশি নিরাপত্তা যেটুকু পাওয়ার কথা ছিল, সেটুকুই পেয়ে আসছিলেন খালেদা জিয়া।
কিন্তু সেই সময় সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন সর্বপরি আত্মমর্যাদা ও সামাজিক অবস্থানের সঙ্গে ওই ‘যৎসামান্য’ পুলিশি নিরাপত্তা যথার্থ মনে হয়নি খালেদা জিয়ার। তাই নিজের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ২০০৯ সালে ‘চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)’ গঠন করেন তিনি। শুরুর দিকে এই ফোর্সের সদস্য সংখ্যা ছিল ১১।
সূত্রমতে, ক্যান্টনমেন্টের মঈনুল রোডের বাসা থেকে গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর সড়কে রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে খালেদা জিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার পাশাপাশি তার অফিস এবং বাসার নিরাপত্তার জন্য এই ১১ জন সিএসএফ সদস্য এবং সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার জন্য বরাদ্দ পুলিশ প্রোটোকলকেই খালেদা জিয়ার জন্য যথেষ্ট মনে করেছে বিএনপি।
সূত্র: জাগো নিউজ