khaleda_04

খালেদার দুর্নীতির মামলার রায়ের কী প্রভাব?

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির দুই মামলা রায়ের পর্যায়ে চলে এসেছে। স্পষ্টতই বিএনপির চোখ আদালতের দিকে।

রায় খালেদা জিয়ার পক্ষে গেলে নির্বাচন করার যোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্নই উঠবে না। তবে বিরুদ্ধে গেলে আগামী নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারাবেন কি না, এই প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গণে।

২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ এখনও নিশ্চিত নয়। তারপরও দলের চেয়ারপারসনের নির্বাচন করার আইনি যোগ্যতা থাকে কি না, এ নিয়ে কৌতুহল আছে।

আইন অনুযায়ী দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার দুই বছরের বেশি সাজা হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ হারাবেন। বিদেশে অর্থপাচারের এক মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানার আদেশ এসেছে আপিল বিভাগ থেকে। ফলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে গেছেন।

এখন খালেদা জিয়ারও যদি একই পরিণতি হয়, তাহলে বিএনপির জন্য বিষয়টি সুখকর হবে না। মূলত এ কারণেই খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা তার দুর্নীতি মামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

বিশেষ জজ আদালতে খালেদা জিয়ার দুই মামলার রায় কবে হবে সে বিষয়ে অবশ্য সুনির্দিষ্ট দিন তারিখ ঘোষণা হয়নি এখনও। তবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৫ ডিসেম্বরে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিএনপি নেত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার পর আগামী ১৯, ২০ ও ২১ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সময় ঠিক করে দিয়েছে আদালত। আর এর মাধ্যমেই শেষ হবে শুনানি, এরপর যে কোনো দিন ঘোষণা হতে পারে রায়ের দিন।

সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ ধারা অনুযায়ী, দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। সেই সঙ্গে সাজা ভোগ শেষে পাঁচ বছর পার করার পরই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘নিম্ন আদালতের দেয়া দুই বছরের বেশি সাজা হাইকোর্টে স্টে (স্থগিত) না হলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। তবে বেগম জিয়ার মামলা এখনো শেষ হয়নি। এ বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাবে না।’

এই রায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গেলে তার প্রভাব কী হবে, তার সাজা হলে তিনি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না-এসব বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চান না দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলা এখনো শেষ হয়নি। কবে শেষ হবে তাও অনুমান করে বলা যাবে না। তাই এখনই কিছু বলা যাবে না।’

dhakatimes

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin