জিয়া অরফানে ট্রাস্ট মামলায় রাজধানীর বকশি বাজারের আলীয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে আসামি পক্ষের দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে।
এ সময় দুপুরে এক ঘন্টা বিরতি চলাকালে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন বিষয়ে কথা বলেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান। তিনি বলেন, এ মামলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক পরিচয় আছে। তার রাজনৈতিক পারিবারিক ঐতিহ্য আছে। এ মামলায় তাকে জবাবদিহি করার জন্য এখানে আনা হয়েছে।
কিন্তু মৌখিক বা দালিলিক কোনো প্রমাণ নেই, তিনি অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিয়েছেন। প্রসিকিউশন টাকার উৎস সম্পর্কে কোনো ডকুমেন্ট দিতে পারেননি। কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য বা তথ্য প্রমাণে আসেনি যে খালেদা জিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
আব্দুর রেজাক খান সোনালি ব্যাংকের দেয়া তথ্যের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে বলেন, অ্যাকাউন্ট ওপেনিংয়ে টাকার অংকের উল্লেখ নেই। যা স্বাক্ষরে অ্যাকাউন্ট ওপেন করা হয়েছে সেটি তৎকালীর প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মূখ্য সচিব কামাল উদ্দিনের স্বাক্ষর কিনা তার কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।
সোনালি ব্যাংক যদি প্রয়োজনীয় কাগজ দিতে পারতো তাহলে টাকার উৎস সম্পর্কে জানা যেত। এরকম বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে থাকলে মামলা ক্লোজ করা উচিৎ।
আমরা আশা করেছিলাম যে রাষ্ট্রপক্ষের ২৬ নম্বর সাক্ষীর মাধ্যমে এ অর্থের উৎস জানা যাবে। আমরা তথ্য দিয়েছি যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি রক্ষার্থে কুয়েতের অ্যাম্বাসি থেকে এ টাকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এ সাক্ষী বলেছেন তিনি খুঁজে পাননি। আব্দুর রেজাক খান বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদেশী ব্যাংকের শাখা রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ চাইলে এটি জানতে পারতো।
jagonews24