ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ধর্ষণে জড়িত: মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন, আজকে এই যে ধর্ষণ এটা শুধু একজন নারীকে ধর্ষণ না, বাংলাদেশকে ধর্ষণ, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধর্ষণ। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত। এদের ধিক্কার দেয়ার ভাষা আমাদের কাছে নেই।

বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশরফ বলেন, বাংলাদেশে বহু অপকর্ম আমরা দেখেছি, শুনেছি। কিন্তু এই যে সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ, বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে যে নির্মম নির্যাতন তা দেখিনি।

এগুলো কারা করেছে তা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের, ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা এসব ঘটিয়েছে। আমরা দেখেছি বেগমগঞ্জে নারীকে যে ধর্ষণ করেছে তার বিরুদ্ধে এক বছর আগেই ধর্ষণের মামলা রয়েছে। সেই হিসেবে তার তো জেলে থাকার কথা। তাহলে কী করে সে নতুন করে এ অপকর্ম করতে পারে?

তিনি আরও বলেন, শুধু ধর্ষণ নয়, আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে তারা লুট করেছে। দেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আজ সরকার এ কাজ করছে। আজকে তারা কোনো ক্ষেত্রে কোনো কিছুর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ড্রাইভারের কী পরিমাণ টাকা তা আপনারা দেখেছেন। ড্রাইভারের যদি এই পরিমাণ টাকা থাকে, তাহলে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের কী পরিমাণ আছে!

মোশারফ বলেন, ফরিদপুরের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক যদি দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করতে পারে, তাহলে এই ছাত্রলীগ যারা পরিচালনা করেন, সেই আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে কী পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে! আজকে কেন এগুলো হচ্ছে? কারণ দেশে আজকে বিচার নেই।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin