khaleda_zia

কোনো সরকারি কর্মকর্তার চাকরি যাবে না: খালেদা

সরকারি চাকরিজীবীদের নির্ভয়ে কাজ করার আহ্ববান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারি চাকরিজীবীদের ভয় দেখাচ্ছে। তারা বলছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি চলে যাবে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কারো চাকরি কেড়ে নেবে না। এবিষয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলেক্ষে রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির মহাসমাবেশে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এসব (চাকরিচ্যুত করা) কাজ বিএনপির নয়। সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা দেখা হবে। কারো চাকরি খাওয়া হবে না।’

আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলছে- বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মানুষ হত্যা করবে। আমরা মানুষ হত্যা করি না, মানুষ হত্যা করে আওয়ামী লীগ। এটা আওয়ামী লীগের কাজ, বিএনপির নয়।’

এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সমাবেশ সফল যেন না হয় এজন্য অনেক বাধা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমিও যাতে আপনাদের সামনে পৌঁছাতে না পারি এজন্য গুলশানে বাস দিয়ে রাস্তা আটকে রাখা হয়।’

‘এই হলো এদের (সরকার) অবস্থা। এরা যে কত ছোট মনের তা প্রমাণ করে দিয়েছে। এতো ছোট মন নিয়ে রাজনীতি করা যায় না’ যোগ করেন খালেদা জিয়া।

এর আগে গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হয়ে বিকেল সোয়া ৩টায় মঞ্চে উপস্থিত হন বিএনপি চেয়ারপারসন। এসময় নেতাকর্মীরা করতা লি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।

এসময় খালেদা জিয়া দু’হাত নেড়ে তিনি নেতাকর্মীদের অভিবাদন গ্রহণ করেন। এরপর বিকেল ৪টা ৮ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন তিনি।

এজেন্সির লোক পাঠিয়ে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে: খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিহনার পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলেছেন, বিদেশে সরকারের এজেন্সির লোক পাঠিয়ে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এ কারণে তিনি দেশে আসতে পারেননি। এর আগে তাকে অসুস্থ বানিয়ে জোর করে বিদেশে পাঠানো হয়।

রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বক্তব্যে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও ইভিএম ব্যবহার না করার দাবি জানান খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন হবে না বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের জুলুম-নির্যাতন ক্ষমা করে দেয়া হবে।

খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, আজকের এই জনসভায় আসতে আমাকেও পথে বাধা দেয়া হয়েছে, যাতে আমি জনসভায় উপস্থিত হতে না পারি। রাজধানীতে গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার, যাতে মানুষ জনসভায় আসতে না পারে। জনসভায় আসতে বাধা দিয়ে সরকার ছোট মনের পরিচয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। এ জন্য বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ছেলেদের প্রতিনিয়ত সরকার জেলে পুড়ছে।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বেগম জিয়‍া বলেন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনে ইভিএম চলবে না, ইভিএম রাখা যাবে না। সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে মোতায়েন করতে হবে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin