hasan_mahmudh

কোকোর ঘুষের টাকা এসেছে, খালেদারটাও আসবে: হাছান

ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচারের টাকা যেভাবে দেশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে একইভাবে তার মা বেগম খালেদা জিয়ার পাচারের টাকাও ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ।

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। সৌদি আরবে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে অভিযোগ করে এ কথা বলেছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো একটি কথিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সংবাদ সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্যে খালেদা জিয়া ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ আনেন। বলেন আইন অনুযায়ী এর বিচার হবে। আবার এই কথিত সংবাদ প্রচার না করায় গণমাধ্যমের কঠোর সমালোচনাও করেন শেখ হাসিনা।

পরদিন পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ওই কথিত সংবাদের বিষয়ে তারা সৌদি আরবে খোঁজ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে এই তথ্যের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানান ফখরুল। নইলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার ‍হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এরও পরদিন আরেক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী জেনেশুনেই অভিযোগ তুলেছেন আর এ বিষয়ে তার কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে।

হাছান মাহমুদ মানববন্ধনে বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন দুর্নীতির এসব এসব নাকি মিথ্যা। এর আগে তারেক ও কোকোর দুর্নীতি যখন বেরিয়ে এসেছিল তখনও তিনি এগুলোকে মিথ্যা প্রচার বলেছিলেন। তারেকের সব প্রমাণ হয়েছে।’

২০১২ সালে সিঙ্গাপুরের আদালতের নির্দেশের পর সে দেশে থাকা আরাফাত রহমান কোকোর কয়েক কোটি টাকা টাকা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালে বহুজাতিক কোম্পানি সিমেন্স কাজ পেতে কোকোকে এই টাকা ঘুষ হিসেবে দিয়েছিল। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কোকোর দুর্নীতির টাকা বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। অতীতের মত এবারও দুর্নীতি প্রমাণ হবে।খালেদা জিয়ার টাকাও ফেরত আনা হবে।’

মির্জা ফখরুলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে হাছান বলেন, ‘আমি সরকরের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি ফখরুলসহ যারা মিথ্যাচার করছে, নির্লজ্জ আস্ফালন করছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়া পরিবারের দূর্নীতি নতুন কিছু নয়। খালেদা জিয়া ও তার পরিবার আগেও দুর্নীতি করেছে। অতিতে সেগুলো প্রমাণও হয়েছে। তখনও তারা নির্লজ্জের মত মিথ্যা প্রচার করেছিল, এখনও করছে।’

সৌদি আরবের সম্পদের অনুসন্ধান করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিও আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।

মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনারও জবাব দেন হাছান। বলেন, ‘বিএনপি মানবাধিকারের কথা বলে মাঝে মাঝে। কিন্তু বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মেরেছিল। বাবার সামনে সন্তানকে পুড়িয়ে মেরেছিল, ঘুমন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল? বিএনপির মুখে মানবাধিকার শব্দটি মানায় না।’

ঢাকাটাইমস

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin