কোনো সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা না জানিয়েই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের জরুরি সভায় ডেকেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রোববার রাতে এ সভায় বসবে বিএনপির হাইকমান্ড।
খালেদা জিয়ার এই আকস্মিক সভা নিয়ে বিএনপিসহ রাজনৈতিক মহলে উৎসুক অবস্থা তৈরি হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও এ নিয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
দলটির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য এবং দলের বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, অন্যান্য এজেন্ডার পাশাপাশি খালেদা জিয়া, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার ভবিষ্যত এবং পরবর্তী করণীয়ই আলোচনার মূল বিষয় হয়ে উঠবে রোববার রাতের স্থায়ী কমিটির সভায়।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, এই বিষয়টি তো সমসাময়িক রাজনীতিরই একটি অংশ। তাই এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, রোববারের স্থায়ী কমিটির সভায় গুরুত্ব দিয়ে কয়েকটি বিষয় আলোচিত হবে। তার মধ্যে সর্বাগ্রে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, আনিসুল হকের মৃত্যু পরবর্তী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রেক্ষাপট নিয়ে গুরুত্বের সাথে আলোচনা হবে।
একই সাথে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসতে থাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে যে নির্বাচনকালীন রূপরেখা দেওয়ার কথা ছিল তা নিয়েও চূড়ান্ত আলোচনা হতে পারে। কারণ এই বিষয়টি সম্পর্কে এখনও স্থায়ী কমিটির সব সদস্য সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল নন। রূপরেখায় কী কী থাকছে তা পূর্ণাঙ্গ এখনও স্থায়ী কমিটিকে জানানো হয়নি।
বিএনপি নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা মনে করেন, সরকার দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে জেলে পাঠাতে চায়। খালেদা জিয়া কারাবন্দি হলে দল পরিচালনায় কী কৌশল হবে তা নিয়ে এখন থেকেই ভাবতে চান বিএনপির হাইকমান্ড।
তবে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে থেকেই দল পরিচালনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন বলেও নেতারা জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান পরিবর্তন ডটকমকে আরও বলেন, সমসাময়িক রাজনীতির যে অবস্থা তাতে রোববারের স্থায়ী কমিটির বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, মামলায় খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করলে কী করা হবে সেটি নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হতে পারে।
যদিও দলের স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য আইনঙ্গ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, বেগম খালদা জিয়াকে আাদালত সাজা দেওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনও সাক্ষ-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তাই মামলায় খালেদা জিয়া অব্যাহতি পাবেন এবং এ নিয়ে তারা চিন্তিত নন বা এ সংক্রান্ত কোনও আলোচনা করতে চান না বলে দাবি করেন মওদুদ আহমদ।
যদিও তিনি বলেন, এরপরও যদি আদালতকে প্রভাবিত করে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয় তাহলে সেটি ভিন্ন বিষয়।
উৎসঃ poriborton