কেন্দ্র দখল-জাল ভোট: পাবনা-৪ আসনে পুনর্নির্বাচন চান বিএনপি প্রার্থী

কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, এজেন্টদের ভয়-ভীতি দেয়াসহ নানা জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।

ভোটগ্রহণ শুরুর তিন ঘন্টার মাথায় শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় সাহাপুরের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন হাবিবুর রহমান হাবিব।

সংবাদ সম্মেলনে ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। কেন্দ্রগুলো দখল করে নেয়া হয়েছে। সাধারণ ভোটারদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রায় এক-দেড়শ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। মামলার ভয়ে সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কেন্দ্রগুলোতে কেউ আসতে পারছে না। কোনো কেন্দ্রে আমাদের এজেন্ট দিতে পারিনি। এ কারণে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।

এর আগে সকাল ৯টায়। পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘড়িয়া) আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু। দেশে এবারই প্রথম সকাল ৮টার পরিবর্তে ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। একটানা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

জেলার ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত পাবনা-৪ আসন। এ আসনে দুটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮১ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯১ হাজার ৬৯৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪১৫ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১২৯টি। এসব ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের জন্য দায়িত্ব পালন করছেন ২,৩০১ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ৮ প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত থাকবে। মোট ১৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম।

রিটার্নিং অফিসার ও পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ আরও জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্রগুলোতে এবং ভ্রাম্যমাণভাবে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২রা এপ্রিল পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ ডিলু মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণার পর উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ব্রেকিংনিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin