দুর্নীতির মামলা থেকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর অব্যাহতি কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সাথে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুদকের মামলায় সাক্কুকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। তবে আত্মসমর্পণ করে সাক্কু জামিন চাইলে তা বিবেচনা করতে বলেছেন আদালত।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা ওই মামলায় বিচারিক আদালত গত বছরের ২১ নভেম্বর সাক্কুকে অব্যাহতি দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে আবেদন করে, যা আজ বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রুলে অব্যাহতির ওই আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে সাক্কুসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
দুদকের মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন সাক্কু
দুদকের দায়ের করা মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লা জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। তার জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।
একই সঙ্গে মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১২ জুন দিন ধার্য করেছেন। এছাড়া মামলাটি বিশেষ জজ আটে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে ৯ মে ঢাকা মহানগর দায়রা জজের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জাহিদুল কবিরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকার বিনিময়ে ২৪ মে পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৪ কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার ৯৩৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভুত অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১ কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
ওই অভিযোগে ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক শাহিন আরা মমতাজ এ মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাক্কুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদক।