জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কাউন্সিলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়া বললেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাম শুনলে তাদের (আওয়ামী লীগের) মাথা খারাপ হয়ে যায়।’ এমন কথা শুনে দেশের অনেক মুক্তিযোদ্ধার মনেই প্রশ্ন, রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছে বিএনপি।
দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি চরম অবমাননার নজির স্থপান করে তারা এইখন মুক্তিযোদ্ধারের অধিকার নিয়ে কথা বলছে। কোন মুখে তারা এমন কথা বলে।
বেগম জিয়ার অভিযোগ, ‘একতরফা সমাবেশ করতে পারবে, অন্যান্য দলকে সমাবেশ করতে দেয় না, এর নাম কি গণতন্ত্র?’ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার মতে, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সমাবেশ করল বিএনপি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করল। একই স্থানে আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল পরে বিএনপির সমাবেশের জন্য গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আওয়ামী যুবলীগ তা সরিয়ে নেয়।
আবার বেগম জিয়া ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা গাড়িবহর যাত্রা করলেন। রোহিঙ্গা দেখার নামে দীর্ঘ সমাবেশ চালালেন। আর ‘এই রথ দেখা কলা বেচা’য় সার্কিট হাউসে থাকার ব্যবস্থাও ছিল বেগম জিয়ার। এখন কোন হিসেবে বলা হয় সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসলে যথেষ্ট সমাবেশ করার মতো বিএনিপর সাংগঠনিক শক্তিই নেই। যদি থাকতো তাহলে রংপুর সিটি নির্বাচনে এতটা সুযোগ থাকার পরও ফলাফলে এমন লজ্জাজনক হার দেখতে হতো না। আর চলতি বছরই শত ইস্যু পাওয়া গেছে তার কয়টি নিয়ে বিএনপি আন্দোলন করতে পেরেছে।
বেগম জিয়া বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে আজকে দেশের মানুষ দিশেহারা। মিটমিট করে চুলা জ্বলে, গ্যাস পায় না। কিন্তু দাম বেড়েই যাচ্ছে।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো নিয়ে কতটা আন্দোলন করেছে বিএনপি। যদি আরও স্পষ্ট করে বলা হয়, নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল ছাড়া জনগণের কোনো অধিকার নিয়ে বিএনপি একটি আন্দোলনও কী গড়ে তুলতে পেরেছে?
অনেকেই হিসেব করে দেখুন চলতি বছরের এমন কোনো আন্দোলন হয়েছে কিনা? অনেক চিন্তুা করেও উত্তর ‘না’ হবে। দলের সংবাদ সম্মেলনে একটি কথাই বিএনপির গৃহবাসী মুখপাত্ররা বলেন, জনগণ এর জবাব দেবে। কেন বলেন না তারা দেবেন। কারণ নূন্যতম সেই আন্দোলন গড়ে তোলার সক্ষমতা কি তাদের আছে? রাজনীতি সচেতন জনতার এমন প্রশ্নের উত্তরে কী বলবে বিএনপি?
বাংলা ইনসাইডার/