goyessor

কিসের মোকাবেলা করবেন আপনারা: আ. লীগকে গয়েশ্বর

‘কিসের মোকাবেলা? কিসের মোকাবেলা করবেন আপনারা? বিএনপির নেতাকর্মীদের আক্রমণ করছেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা কি আপনাদেরকে আক্রমণ করতে গেছে। যখন আক্রমণ করতে যাবে তখন হয়তো প্রতিরোধের প্রশ্ন আসতে পারে।’ বলে আওয়ামীলীগকে উদ্দেশ্য প্রশ্ন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জিয়া সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আপনার বিশেষ দূত এরশাদ সাহেব খালেদা জিয়াকে জেলখানায় পাঠায় তার আরেক জন মন্ত্রী রাঙা তারিখই দিয়ে দিলেন। তাহলে বিচারিক আদালতের মোহাম্মাদ আখতারুজ্জামান যে বিচারকের চেয়ারে বসে আছেন তার কাজটা কি? তাহলে কি তিনি শেখ হাসিনার বার্তা জনগণের কাছে সংবাদ পাঠক হিসাবে পাঠ করবেন।’

৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে অগ্রিম রায়ের বিষয়ে কথা বলায় কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সারা দেশের মানুষ উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছে। উৎকণ্ঠা উদ্বিঘ্ন আসতো না যদি শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে রায় ঘোষণা না করতেন।

তিনি আরো বলেন, এছাড়া এরশাদ ও রাঙাও রায় ঘোষণা করেছেন এবং তারা (আ.লীগ) মিষ্টির দোকানে ইতোমধ্যে অগ্রিমও অর্ডারও দিয়েছেন। তাই তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজপথে বিষয়টি মোকাবেলা করবে বলে অগ্রিম কথা বলছেন।’

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক আরো বলেন, ‘আমরা কি এটা কে কি রায় মনে করবো? মোটেও না। কারণ এটা রায় হতে পারে না। রায় লেখার আগেই যখন রায় ঘোষণা হয় সরকারের পক্ষ থেকে তাহলে আমরা বুঝে নিবো এই সরকার কোর্টকে ব্যবহার করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নির্যাতনের জন্য। সুতরাং হয়তো আমাদেরকে আবার গাইতে হবে সেই উনসত্তরের গণবাণী বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে সেই জনতা।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আপনারা বেগম জিয়াকে জেল দিবেন নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন। একটু ভাবেন, বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কোন নির্বাচন করার সামর্থ্য আপনাদের আছে কিনা? ২০১৪ সালে তো নির্বাচন করতে পারেন নাই, এটাকে নির্বাচন বলে না। কারণ আপনারা নির্বাচনে বিশ্বাস করেন না। দেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় জনগণের যদি ভোট দেয়ার সুযোগ থাকে সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করবে না।’

আয়োজক জিয়া সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাসানুল ইসলাম রাজার সভাপতিত্বে এবং এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈশার সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, জিনাফের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin