যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডনে গেছেন গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন। গতকাল তিনি যুক্তরাষ্ট্র ছাড়েন। গত ২০ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নটরডেম তাঁকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করে। ড. কামাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা থেকে এই ডিগ্রি লাভের আগে তিনি নিউইয়র্কে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন।
এছাড়াও ড. কামাল হোসেন নিউইয়র্কে কয়েকজন সিনেটর এবং কংগ্রেসম্যানকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্রিফ করেন। বিচারপতি সিনহার সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের কি বৈঠক হয়েছে সে সম্পর্কে কেউ কিছু বলেননি। তবে ড. কামাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ একজন আইনজীবী জানান, ড. কামালের সঙ্গে সিনহার বৈঠকটি পূর্ব নির্ধারিত। ঢাকা থেকেই এই বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছিল।
লন্ডনে ড. কামাল ব্যস্ত সময় কাটাবেন। লন্ডনে তাঁর তারেক জিয়ার সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবার কথা রয়েছে। এছাড়াও লন্ডনে বাঙালি সমাজ তাঁকে সংবর্ধনা দেবে। বাঙালি সমাজের আড়ালে আসলে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরাই এই সংবর্ধনার আয়োজন করেছে বলে জানা গেছে।
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত সৃষ্টি করাই ড. কামাল হোসেনের বর্তমান সফরের প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানা গেছে। পাশাপাশি, তিনি বাংলাদেশে ঈদের পর কীভাবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করা যায়, সেব্যাপারেও পরামর্শ করবেন বলে জানা গেছে।
সরকারকে হারাতে মান্নানের শপথ
গাজীপুরের বর্তমান মেয়র আব্দুল মান্নান এবং জামাতের নেতা সানাউল্লাহ বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসানউদ্দিন সরকারকে হারাতে শপথ নিয়েছেন। বিএনপির নেতা এবং বর্তমান মেয়র অধ্যাপক মান্নান বলেছেন, ‘আমাকে ছাড়া বিএনপির কেউ মেয়র হতে পারবেনা। দেখি সে (হাসানউদ্দিন সরকার) কীভাবে মেয়র হয়?’
আজ দুপুরে জামাত নেতা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি ঐ মন্তব্য করেন। বিএনপি এবং জামাতের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিতও করেছেন।
অধ্যাপক মান্নান ২০১৩ সালে মেয়র নির্বাচনে বিএনপির টিকেটে জয়লাভ করেন। কিন্তু নানা মামলায় তিনি একবছরও দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। এবার মেয়র নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন চেয়েও পাননি। অধ্যাপক মান্নান নিজেই তাঁর ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, মনোনয়ন দেওয়ার জন্য তারেক তাঁর কাছে টাকা চেয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় তাঁর বদলে হাসান উদ্দিন সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
হাসান উদ্দিন সরকার মান্নানকে বাদ দিয়েই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছিলেন। মাঝখানে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। এখন হাসান উদ্দিন সরকার ইফতার পার্টির মাধ্যমে জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু এসব ইফতার পার্টিগুলোতে তিনি বর্তমান মেয়রকে ডাকছেন না। এমনকি মেয়র পদে দাঁড়িয়ে আবার প্রত্যাহার করা জামাত নেতা সানাউল্লাহও এখন পর্যন্ত কোনো ইফতারে দাওয়াত পাননি।
হাসান উদ্দিন সরকার বিভিন্ন জনসংযোগে বর্তমান মেয়রের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছেন। হাসানউদ্দিন সরকার বলেছেন, ‘বর্তমান মেয়র ৫ বছরে গাজীপুরে কিছুই করেননি। করতে চাইলে বিরোধী দলে থেকেও অনেক কিছু করা যায়।’
এসব কথা মান্নানের কানে এসেছে। তিনি এখন শপথ নিয়েছেন হাসানউদ্দিন সরকারকে যেকোনো মূল্যে হারাবেন। ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, ‘মানুষের উপকার করা কঠিন, কিন্তু ক্ষতি করা অনেক সহজ।’
বাংলা ইনসাইডার